জাম খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত জানুন

গরম প্রায় চলেই এসেছে। গরমে অনেক ফলমূল পাওয়া যায় তার মধ্যে জাম অন্যতম। জাম অনেক ধরণের পাওয়া যায় তার মধ্যে কালো জাম বাংলাদেশে অনেক বেশি জনপ্রিয়। আপনারা যারা জাম খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে জানতে চান তারা আমাদের নিচের পোস্টটি পরতে পারেন। সেখানে আমরা জাম নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেছি।

জাম যেমন পুষ্টিতে ভরপুর তেমনি খেতে অনেক সুস্বাদু। জাম খেলে ক্যান্সার থেকে মুক্তি মিলে। কারোর ফুসফুসের সমস্যা থাকলে সে জাম খেতে পারে সেটি থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য। নিচে জাম নিয়ে আরও আলোচনা করা হল।

ভূমিকা ঃ 

জামে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে পটাসিয়াম,আয়রন,ম্যাগনেসিয়াম,থিয়ামিন,ভিটামিন সি,প্রোটিন,ভিটামিন এ,ক্যালসিয়াম,ফসফরাস,সোডিয়াম,অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল সহ অ্যান্টি-ম্যালেরিয়া। এ ছাড়াও জামে আরও রয়েছে বেটুলিক এসিড,গালিক এসিড,ট্যানিন ইত্যাদি।

আমাদের সকলেরই জাম খাওয়ার অভিজ্ঞতা রয়েছে। আমরা আমাদের আসেপাশের বাজারে গেলেই জাম পেয়ে যাই। আমাদের সকলেরই জাম খাওয়া উচিত। কেননা জামে অনেক ধরণের পুষ্টি আছে যেটা আমাদের শরীরের বিভিন্ন সমসার সমাধান করে।

জাম খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে নিচে বিস্তারিত আলোচনা করা হল 

ব্যাকটেরিয়া থেকে মুক্তি 

জাম খাওয়ার অনেক উপকার রয়েছে। শরীর বিভিন্ন সময় অনেক ধরণের ব্যাকটেরিয়া দ্বারা আক্রান্ত হয়। যেগুলু শরীরের জন্য অনেক ক্ষতিকর। জাম খেলে শরীরের এসব ব্যাকটেরিয়া থেকে অনেক তাড়াতাড়ি মুক্তি মিলে। তাই আমাদের সকলেরই জামের মৌসুমে যথার্থ পরিমাণ জাম খাওয়া উচিৎ।

ক্যান্সার 

আমরা সকলেই জানি যে পৃথিবীতে এখন পর্যন্ত ক্যান্সারের কোন প্রতিশোধক তৈরি হয়নি। আমরা আমাদের জীবনটাকে বিভিন্নভাবে নিয়ন্ত্রণ করলেই ক্যান্সার নামক মরণব্যাধি থেকে আমরা নিজেদের রক্ষা করতে পারবো। জাম তেমনি একটা ফল যেটি ক্যান্সার প্রতিরোধে ব্যাপকভাবে কাজ কর। যদি কেউ নিয়মিত জাম খেতে পারে তবে তার শরীরে ক্যান্সার না হওয়ার সম্ভাবনায় অনেক বেশি।

ফুসফুস সমস্যা থেকে মুক্তি 

বায়ু দূষণ এখন খুবই নগণ্য একটি বিষয় আমাদের সমাজে। যে যেভাবে পারছে বায়ু দূষণ করছে। বায়ু দূষণ এবং সিগারেটের ধোঁয়াতে বিভিন্ন ক্ষতিকারক পদার্থ থাকায় এটি ফুসফুসের অনেক ক্ষতি সাধন করে। বিজ্ঞানীদের বিভিন্ন গবেষণা বলছে যে জাম অনেকটা এই ক্ষতি পুষিয়ে নেয়। এছাড়াও আমরা যখন বাহিরে বের হলে মাক্স ব্যবহারের চেষ্টা করব। যাতে আমাদের ফুসফুস অনেক সুস্থ থাকে বাহিরের বায়ু দূষণ থেকে।

হার্ট-স্ট্রোকের ঝুকি কমায় 

জামে থাকে ব্যাপক মাত্রায় পটাসিয়াম। যেটি হার্টকে ভালো রাখতে সাহায্য করে। পটাসিয়ামেরে কারনে শরীরের উচ্চ রক্তচাপ ও হার্ট স্ট্রোক নিয়ন্ত্রণে থাকে। হার্ট ভালো রাখতে সব সময় ভালো স্বাস্থ্যবান খাবার খেতে হবে। অনেক বেশি পরিমাণে ভিটামিন ও সাস্থবান ফলমূল খেতে হবে। জামে পটাসিয়াম থাকাতে এটি হার্ট স্ট্রোক কমাতে অনেকটা সাহায্য করে।

রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় 

অনেক ধরণের ভিটামিন জাতীয় উপাদান রয়েছে জামে। শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বারাতে সাহায্য করে ভিটামিন। সকল মানুষের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা একই নয়। শরীরকে সুস্থ রাখতে হলে আমাদের নিয়মিত ভিটামিন জাতীয় খাবার খেতে হবে। জামে আমরা জানি বিভিন্ন জাতীয় ভিটামিন রয়েছে তাই এটি শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়।

ত্বককে উজ্জ্বল রাখে 

আমরা জানি যে জামে ভিটামিন সি রয়েছে আর এটি ত্বকের কলাজেন গঠনে সাহায্য করে থাকে। ত্বককে সুন্দর,উজ্জল,মসৃণ করতে অনেক সাহায্য করে জাম। তাই আমাদের সকলের অনেক বেশি বেশি করে জাম খাওয়া উচিত।

রক্তশূন্যতা দূর করে 

জামে প্রচুর পরিমাণে আয়রন থাকার কারনে যদি কেউ নিয়মিত জাম খায় তাহলে তার শরীরে হিমোগ্লোবিন বাড়ার দাড়া রক্তশূন্যতা দূর হবে। যাদের শরীরে রক্তের অনেক ঘারতি দেখা যায় তাদের নিয়মিত জাম খাওয়া উচিত। কেননা জাম শরীরে রক্ত তৈরি করতে সাহায্য করে।

দাঁত ও মাড়ির সমস্যার সমাধান

জামে অনেক ধরণের ভিটামিন উপাদান রয়েছে যা দাঁতকে সুস্থ রাখে। জাম দাঁত ও মাড়ির জন্য অনেক উপকারি একটি ফল। মাড়ি দিয়ে রক্ত পড়া এসব নতুন কিছু নয়। আমরা জানি যে দাঁতের গোঁড়া দিয়ে রক্ত পড়া ভালো কোন কিছুর লক্ষণ নয়। আর এমনটা হলে আমদের ভিটামিন এ জাতীয় খাবার খেতে হয় যেটি জামে অনেক রয়েছে।

জন্ডিস থেকে মুক্তি 

জন্ডিস একটি অত্যন্ত ভয়ঙ্কর মরণবাধী একটি রোগ। জামে আয়রন রয়েছে যেটি শরীরের অনেক ঘাটতি পূরণ করে। শরীরে জন্ডিস হলে আয়রন সেটিকে ভালো করতে অনেকটা সাহায্য করে। তাই আমাদের জাম খাওয়া উচিত।

 ইনফেকশন 

জামে অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়া থাকার কারনে শরীরের কথাও ইনফেকশন হলে সেটি অনেক তাড়াতাড়ি দূর হয়। যে কোন কারনে শরীরের বিভিন্ন জায়গাতে ইনফেকশন হতে পারে। কারোর কারোর এই ইনফেকশন ভালো হইতে অনেক সময় লেগে যায়। কারন তাদের শরীরে ভিটামিনের অনেক অভাব হয়। ভিটামিনের অভাব সাড়াতেও জাম খাওয়ার প্রয়োজন রয়েছে।

আছারাও জাম খাওয়ার আরও অনেক ধরণের উপকার রয়েছে। আমাদের দৈনন্দিন খাবার তালিকায় জাম সহ আরও অনেক ফলমূল রাখা উচিত। জাম সারবছর পাওয়া যায়না তবে যে সময়ে জাম পাওয়া যায় সকলের জাম খাওয়া উচিত। জাম শরীরের গুরুত্বপূর্ণ বিভিন্ন জিনিসের উপকার করে।আমাদের শরীরের বেশিরভাগ ভিটামিনের অভাব পুরন করে বিভিন্ন ফলমূল। তাই আমাদের নিয়মিত ফলমূল খাওয়া উচিত।

লেখকের মন্তব্যঃ

জাম আমাদের সকলের খাওয়া উচিৎ। জামে অনেক ধরণের ভিটামিন আছে যেটি আমাদের শরীরের অনেক ধরনের উপকার করে। আপনার যদি আমার এই পোস্টটি ভালো লাগে তাহলে আপনি এটি আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করতে পারেন এবং আপনার মতামত কমেন্ট করে আমাদের জানাতে পারেন।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

আপনাদের মন্তব্য কমেন্টেরে মাধ্যমে জানাতে পাড়েন

comment url