কাঁঠালকে কেন জাতীয় ফল বলা হয়

দুধ খেলে যে যে উপকার হয়কাঁঠালকে কেন জাতীয় ফল বলা হয় সেটি সম্পর্কে আপনারা জানতে চান তারা আমাদের নিচের এই পোস্টটি পড়ে আসতে পারেন। কাঁঠাল ফল একটি পুষ্টিকর এবং সুস্বাদু খাবার। পোস্টটিতে আমরা আলোচনা করেছি কাঁঠাল কিভাবে এবং কেন আমাদের জাতীয় ফল। কাঁঠাল খেলে আমাদের শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়। এছাড়াও কাঠালে অনেক ধরনের পুষ্টি রয়েছে যেগুলো আমাদের শরীরের বিভিন্ন ধরনের উপকারে আসে।

হজম শক্তি অনেকটা বাড়ে কাঁঠাল খেলে। যাদের হজমে সমস্যা রয়েছে তারা কাঁঠাল খেতে পারেন সেটি থেকে মুক্তি পেতে। কাঁঠাল অনেক শক্তিশালী একটা ফল। কাঠাল খেলে আপনার অনেক রকম সমস্যার সমাধান হবে। তবে কাঁঠাল অতিরিক্ত খাওয়ার ফলে আপনার শরীরে বিভিন্ন রকম সমস্যা হতে পারে।

ভূমিকাঃ

আমকে জাতীয় ফল করার কথা হয়েছিল দেশ স্বাধীন হওয়ার পরে। জাতীয় ফল নির্বাচনে আমাদের তেমন কোন বেগ পেতে হয়নি। আমাদের পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতের জাতীয় ফল আম। তাই স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে আমকে আর আমাদের দেশের জাতীয় ফল করা হয়নি। তাই তখন কোন উপায় না পেয়ে কাঁঠালকেই বাংলাদেশের জাতীয় ফল করা হয়। নিচে আমরা কাঁঠাল কে কেন জাতীয় ফল বলা হয় সেটি সম্পর্কে বিস্তারিত জানবো।

কাঁঠালকে কেন জাতীয় ফল বলা হয় সেটি আলোচনা করা হল 

কাঁঠাল ফল

কাঁঠাল আমাদের দেশের জাতীয় ফল। কাঁঠালের জন্ম ভারতীয় উপমহাদেশের বাংলাদেশেই। কাঁঠাল বাংলাদেশের জাতীয় ফল হওয়ার জন্য উপযুক্ত একটি ফল। কেননা কাঁচা কাঁঠাল মানুষ তাদের দৈনন্দিন জীবনের সবজি হিসেবে ব্যবহার করে থাকে। কাঁচা কাঁঠাল দিয়ে বিভিন্ন রকম তরকারি রান্না করে মানুষ। আর পাকা কাঁঠাল তো মানুষ খুব মজা করে খেয়ে থাকে। কাঁঠাল অনেক পুষ্টিগুণ সম্পন্ন একটি ফল। 

কাঠালে যে সকল ভিটামিন রয়েছে সেগুলো আমাদের শরীরের অনেক উপকারে আসে। আমাদের সকলেরই উচিত যখন কাঁঠালের মৌসুম আসবে তখন নির্দিষ্ট পরিমাণ কাঁঠাল খাওয়া। এটি আমাদের শরীরকে সুস্থ রাখার পাশাপাশি আমাদের শরীরে শক্তির যোগান দেয়। তাই আমাদের সকলেরই কাঁঠাল খাওয়া উচিত।

কাঁঠালের উচ্ছিষ্ট

কাঁঠালকে কেন জাতীয় ফল বলা হয় তার একটি কারন হল এটির উচ্ছিষ্ট গুলো আমাদের কখনোই নষ্ট করতে হয় না। কেননা কাঁঠাল খাবারের পর মানুষ সেটিকে কখনো ফেলে দেয় না। মানুষের কাঁঠাল খাওয়ার পরে কাঁঠালের যে উচ্ছিষ্টগুলো থাকে মানুষ সেগুলো তাদের গৃহপালিত যে সকল পশু রয়েছে তাদেরকে খাওয়ায়। এছাড়াও অনেক সময় কাঠালের বিচিগুলোকেও তারা তাদের গৃহপালিত পশুদের খাওয়ায়। 

কাঁঠালের উচ্ছিষ্টগুলোতে অনেক পুষ্টি এবং ভিটামিন রয়েছে যেগুলো গৃহপালিত পশুগুলোকে স্বাস্থ্যবান করতে অনেক সাহায্য করে। কাঁঠাল এমন একটি ফল যার কোন কিছুই নষ্ট হয় না।

কাঁঠালের বিচি

কাঁঠাল একটি সুস্বাদু এবং পুষ্টিকর ফল। আমাদের সকলেরই কাঁঠাল খাওয়া উচিত। কাঁঠালের মধ্যে কাঁঠালের বিচি থাকে। কাঁঠালের এসব বিচিগুলো আমরা রান্নার বিভিন্ন কাজে ব্যবহার করে থাকি। যেমন আমরা কাঁঠালের বিচি শুকিয়ে খাবার তরকারিতে ব্যবহার করি। এছাড়া আমরা কাঁঠালের বিচি শুকিয়ে সেটি ভেজে খাই। এটি অনেক মজাদার একটি খাবার। তাই কাঁঠালের কোনো জিনিসই নষ্ট করতে হয় না। এজন্যই তো কাঁঠালকে জাতীয় ফল বলা হয়। যে ফলের কোন কিছুই নষ্ট করতে হয় না।

কাঁঠাল গাছের লতাপাতা

কাঁঠাল গাছের সবকিছুই আমাদের জীবনে বিভিন্নভাবে গুরুত্ব রাখে। কাঁঠালের পাশাপাশি কাঁঠাল গাছের লতাপাতা ও আমাদের দৈনন্দিন জীবনে অনেক কাজে লেগে থাকে। যেমন কাঁঠাল গাছের সবুজ লতাপাতা আমাদের গৃহপালিত পশুর পুষ্টিকর খাদ্য হিসেবে ব্যবহার হয়। কাঁঠাল গাছের শুকনা পাতাগুলো আমরা আমাদের দৈনন্দিন জীবনের জ্বালানি হিসেবে ব্যবহার করে থাকি। 

তাই এটি বলার কোন সুযোগ নেই যে কাঁঠাল গাছের লতাপাতা আমাদের জীবনের দৈনন্দিন কোন কাজে লাগে না। তাই কাঁঠালের পাশাপাশি কাঁঠাল গাছের লতাপাতা ও আমাদের দৈনন্দিন জীবনের জন্য অনেক প্রয়োজন।

কাঁঠাল গাছের কাঠ কাজে লাগে 

কাঁঠালগাছ আমাদের ফলমূল লতাপাতার পাশাপাশি কাঠও দিয়ে থাকে। আমাদের কাঠের জিনিসের আসবাব পত্র বানিয়ে নেওয়ার অনেক শখ রয়েছে। বাংলাদেশের জনসংখ্যা বৃদ্ধির পাশাপাশি মানুষের বিভিন্ন রকম আসবাবপত্রের চাহিদা অনেক বৃদ্ধি পাচ্ছে। মানুষ তাদের নতুন নতুন বাসস্থান তৈরি করছে। যেখানে তাদের দৈনন্দিন জীবনে বিভিন্ন চাহিদা মেটানোর জন্য কাঁঠালের কাঠ ব্যবহার করে তারা তাদের আসবাবপত্র বানাচ্ছে। 
তাই বলা যায় কাঁঠাল গাছ মানুষের যেসব কাঠের চাহিয়া রয়েছে সেগুলোও অনেক ভালভাবে পূরণ করছে। কাঁঠাল গাছের কাঠ দিয়ে মানুষ তাদের দৈনন্দিন জীবনে রান্না থেকে শুরু করে আসবাবপত্র তৈরি পর্যন্ত সকল কাজ করছে। তাই বলা যায় কাঁঠাল গাছের কাঠের গুরুত্বও আমাদের জীবনে অনেক বেশি।

কাঁঠাল একটি পুষ্টিকর ফল

কাঁঠাল বাংলাদেশ জাতীয় ফল। কাঠালে ভিটামিন এ,ভিটামিন ডি,পটাশিয়াম,ক্যালসিয়াম ছাড়াও আরো বিভিন্ন উপযুক্ত ভিটামিন রয়েছে। যেটি আমাদের শরীরকে সুস্থ রাখে বিভিন্নভাবে সাহায্য করে। আমাদের নিয়মিত ৫০০ গ্রাম ফল খাওয়া উচিত। যেটি আমাদের শরীরকে অনেক সুস্থ রাখতে সাহায্য করে। কাঁঠাল খেলে আমাদের শরীরের যে সকল পুষ্টির অভাব রয়েছে সেগুলো পূরণ হয়ে যায়। 

তাই যাদের শরীরের পুষ্টির বিভিন্ন রকম সমস্যা রয়েছে তারা নিয়মিত কাঁঠাল খেতে পারেন। কাঁঠালে বিভিন্ন ধরনের ভিটামিন রয়েছে যেগুলো আপনাদের শরীরের বিভিন্ন রকম ক্ষয় প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে। কাঁঠালকে কেন জাতীয় ফল বলা হয় সেটির একটি কারন হল কাঁঠালে অনেক পুষ্টি থাকে। 

রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়

প্রত্যেক শরীরেরই রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা রয়েছে। কারো কারো শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা অনেক বেশি আবার কারো কারো একটু কম। যারা নিয়মিত বিভিন্ন ফলমূল শাকসবজি এবং ভিটামিন জাতীয় খাবার খায় তাদের শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বরাবরের মতোই অনেক ভালো। কাঁঠালকে কেন জাতীয় ফল বলা হয় সেটির একটি কারন হল কাঁঠালের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা অনেক। 

যাদের শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা ভালো তারা শারীরিকভাবে অনেক সুস্থ থাকেন। মূলত পক্ষে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে বিভিন্ন ভিটামিন জাতীয় ফলমূল খেলে। কাঠালে ভিটামিন ডি,ভিটামিন সি,পটাশিয়াম,ক্যালসিয়াম সহ বিভিন্ন ধরনের পুষ্টিকর ভিটামিন রয়েছে। যে কারণে কাঁঠাল খেলে আমাদের শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়।

কাঁঠাল আমাদের শক্তির যোগান দেই

কাঁঠাল গ্রীষ্মকালীন একটি ফল। কাঁঠাল আমাদের জাতীয় ফল হওয়ার কারণে আমরা সকলেই কাঁঠাল সম্পর্কে অনেক জানি। কাঁঠাল অনেক সুস্বাদু এবং পুষ্টিকর একটি ফল। কাঁঠালে প্রচুর ভিটামিন এ,ভিটামিন সি,ভিটামিন ডি,ক্যালসিয়াম,পটাশিয়াম রয়েছে। যেগুলো আমাদের শরীরকে সুস্থ এবং সবল রাখতে সাহায্য করে। গ্রামের দিকে কাঁঠালের গাছের সংখ্যা অনেক বেশি থাকে। তাই সেখানকার মানুষজন কাঠাল অনেক বেশি খায়। 

গ্রামের বেশিরভাগ মানুষই কৃষক। তারা সারাদিন অনেক কাজ করার ফলে তাদের শরীরের দুর্বলতা অনেক বেশি পায়। তাই তারা তাদের কাজে যাওয়ার পূর্বে কাঁঠাল খেয়ে যায়। এতে করে তাদের শরীর অনেক সবল এবং শক্তিশালী থাকে। তাই চিকিৎসাক বিজ্ঞানীরা অনেক সময় বলে থাকেন যে যাদের শরীরের দুর্বলতা অনেক বেশি তারা কাঁঠাল খেতে পারেন।

লেখকের মন্তব্যঃ

কাঁঠাল একটি পুষ্টিকর খাদ্য ফল। কাঁঠালকে কেন জাতীয় ফল বলা হয় সেটি সম্পর্কে আপনারা উপরে জানলেন। কাঁঠাল আমাদের সকলেরই খাওয়া উচিত। আপনাদের যদি আমার উপরের পোস্টটি ভালো লেগে থাকে। তাহলে আপনারা আপনাদের মতামতটি কমেন্টের মাধ্যমে জানাইতে পারেন এবং আপনার বন্ধু-বান্ধবদের সাথে এটি শেয়ার করতে পারেন।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

আপনাদের মন্তব্য কমেন্টেরে মাধ্যমে জানাতে পাড়েন

comment url