আম খেলে কি কি উপকার হয় সেটি সম্পর্কে জানুন
আম খাওয়ার উপকারিতা অনেক রয়েছে। আমরা সকলেই আম খেতে পছন্দ করি। আপনি যদি আম খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে জানতে চান। নিচে আম খেলে কি কি উপকার হয় সেটি সম্পর্কে আমরা বিশেষভাবে আলোচনা করেছি, আপনি চাইলে তা পরে আসতে পারেন। আমে ফাইবার,পাকটিন ও ভিটামিন সি থাকায় রক্তে উচ্চমানের কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণ থাকে। আমাদের সকলেরই আম খাওয়া উচিত।
আম খেলে কি কি উপকার হয় সেটি সম্পর্কে জানতে হলে আপনাদের নিচের পোস্টটি পরতে হবে। সেখানে জানুন আম খেলে আমাদের কি কি উপকার হয়। আম আমাদের সৃতিশক্তি বৃদ্ধিতে সাহায্য করে। এছাড়া আম আমাদের কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে অনেকটা সাহায্য করে।
ভূমিকাঃ
কোন ভাবেই অস্বীকার করার কোন জায়গা নেই যে আম একটি সুস্বাদু ও ভিটামিন যুক্ত খাবার। আমরা সকলেই কম-বেশি আম খেয়ে থাকি। আমরা অনেকেই আজ ও জানিনা যে আম আমাদের শরীরের কি কি উপকার করে। বাংলাদেশের প্রায় সকল জেলাতে আমের চাষ হয়। নিচে আম খাওয়ার উপকারিতার বর্ণনা দেওয়া হল। এছাড়াও আমে বিভিন্ন ধরণের অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট,গালিক,এসিড,মিথাইল থাকার কারনে শরীরে কান্সার বাসা বাঁধতে পারেনা। তাই আমকে কান্সারের প্রতিশোধক ও বলা হয়।
আম খেলে কি কি উপকার হয় সেটি সম্পর্কে আলোচনা করা হল
ক্যান্সারের প্রতিশোধক
আমে বিভিন্ন ধরণের অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট,গালিক,এসিড,মিথাইল,গালেট,কোয়েরসেটিন,আইসোকোয়েরসেটিন ইত্যাদি থাকার কারনে শরীরে কান্সার বাসা বাঁধতে পারেনা। চিকিৎসা বিজ্ঞানে এটি প্রমাণিত যে আম খেলে মানুষের ক্যান্সারের ঝুঁকি অনেকটা কমে যায়। তাই বিভিন্ন ডাক্তার ক্যান্সার থেকে মুক্তির জন্য মানুষকে আম খাওয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকেন।তাই আমকে কান্সারের প্রতিশোধক ও বলা হয়। তাই আমাদের সকলেরই উচিত যথাসম্ভব আম খাওয়া। কারণ আমে অনেক প্রোটিন ও ভিটামিন রয়েছে যেগুলো আমাদের শরীরের বিভিন্ন ঘাটতি পূরণ করে।
পুষ্টিতে ভরপুর
আম একটি গ্রীষ্মকালীন ফল। আমে প্রচুর পরিমাণে বিভিন্ন ধরনের ভিটামিন রয়েছে। আমে রয়েছে ভিটামিন এ,ভিটামিন সি,ভিটামিন ডি,পটাশিয়াম,ফলেট,কপার,ফাইবার,প্রোটিন,ক্যালরি সহ আরো অনেক ধরণের ভিটামিন। যেগুলো আমাদের শরীরের বিভিন্ন সমস্যা ও পুষ্টিঘাটতি গুলু পূরণ করে। আম একটি বাৎসরিক ফল। আমাদের যথাসম্ভব উচিত যখন আমের সিজন আসবে তখন যথাসম্ভব আম খাওয়া।
আমাদের দেশের প্রায় সকল অঞ্চলে আমের অনেক চাষ হয়। আম আমাদের সকলেরই খাওয়া উচিত এবং সেটি নির্দিষ্ট পরিমাণে।
ক্যালোরি
আমাদের শরীরের বিভিন্ন ঘাটতি গুলো পূরণ করে ক্যালোরি। আমরা প্রতিনিয়ত দেখে আসছি যে কালোরির পরিমাণ অধিকাংশ ফলগুলোতেই অনেক কম থাকে। আম ও এটির ব্যতিক্রম নয়। আম খেলে হয়তো আমাদের পেট ও মন ভরে কিন্তু আম খেয়ে কখনোই যথেষ্ট পরিমাণে ক্যালরি আমাদের শরীরে প্রবেশ করে না।
আমাদের শরীরে ভিটামিন,ক্যালরি,প্রোটিন এসবের অনেক দরকার রয়েছে এসব পুষ্টি আমাদের শরীরে আম খুব ভালোভাবে যোগান দিতে পারে। তাই আমাদের আম খাওয়া উচিৎ।
কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণ
কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে ভিটামিন সি,ভিটামিন এ,ফাইবার ও প্যাকটিন ব্যাপকভাবে ভূমিকা রাখে। আর আমে উপরের যে সকল উপাদানের কথা বলা হলো সব কিছুই রয়েছে। আম এভাবেই রক্তের উচ্চমাত্রার কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে মানুষকে সুস্থ রাখে। যাদের শরীরে উচ্চমাত্রার কোলেস্টেরলের সমস্যা চিকিৎসকেরা তাদের আম খাওয়ার পরামর্শ দেন।
ত্বকের উপকার
আমে থাকা প্রোটিন,ফসফরাস,ভিটামিন সি,ভিটামিন এ,ভিটামিন বি ত্বককে ভিতর থেকে সুন্দর এবং পরিষ্কার রাখতে সাহায্য করে। এসব ভিটামিন ত্বকের বিভিন্ন রকম ময়লাকে দূরে ঠেলে ত্বকের উজ্জলতাকে প্রকাশ করায়।
হৃদ-রোগের সমস্যা থেকে মুক্তি
আম একটি গ্রীষ্মকালীন ফল হলেও আম অনেক ঠান্ডা একটি ফল। আম মানুষের শরীরকে ঠান্ডা রাখতে সাহায্য করে। যাদের শরীরে বিভিন্ন রকম হৃদরোগের সমস্যা রয়েছে। তাদের আম খাওয়া উচিৎ। কেননা আম তাদের ভেতরটাকে শীতল রাখে এবং শরীরকে অতিরিক্ত গরম হাওয়া থেকে বাঁচায়।
স্মৃতিশক্তির জন্য
আম মানুষের মেমোরি বুস্টার হিসেবে কাজ করে। আম মানুষের স্মৃতিশক্তি ধরে রাখতে সাহায্য করে। তাই চিকিৎসকেরা যাদের স্মৃতিশক্তি ধরে রাখতে বিভিন্ন রকম সমস্যা হয় তাদের স্মৃতিশক্তি ধরে রাখার জন্য আম খেতে বলে।
চোখের জন্য
চোখের জন্য ভিটামিন এ এর দরকার অনেক বেশ। শরীরে যখন ভিটামিন এ এর ঘাটতি দেখা দেই তখন চোখের সমস্যাও মাথা চারা দিয়ে ওঠে। আমে ভিটামিন এ এর পরিমাণ অনেক বেশি থাকে। তাই যাদের চোখের সমস্যা রয়েছে তাদের সকলের আম খাওয়া উচিত।
রোগ প্রতিরোধ
আমাদের শরীরে বিভিন্ন রকম সমস্যা রয়েছে। সাধারণত আমাদের শরীরে যে সকল সমস্যা গুলো রয়েছে সেগুলো প্রাথমিকভাবে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার দ্বারাই নিয়ন্ত্রণ হয়। যার শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা যত বেশি সে তত বেশি সুস্থ। আমাদের শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায় ভিটামিন ই,কপার,ভিটামিন বি,ফলেট ইত্যাদি ভিটামিন দ্বারা।
আর এ সকল ভিটামিন গুলো রয়েছে আমের মধ্যে। তাই আমাদের প্রচুর পরিমাণে আম খাওয়া উচিত রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার বৃদ্ধি করার জন্য।
হজমে সহায়তা
আমাদের অনেকেরই হজমে অনেক রকম সমস্যা রয়েছে। বিভিন্ন কারণে হজমে সমস্যা হতে পারে তার মধ্যে গ্যাস অন্যতম। আমে ফাইবার ও এনজাইম থাকায় এটি হজমে অনেকটা সাহায্য করে। যাদের হজমে সমস্যা রয়েছে তাদের সকলেরই আম খাওয়া উচিত। আম শরীরের আরও যে সকল সমস্যা রয়েছে সেসবের পাশাপাশি হজমে যে সকল সমস্যা রয়েছে সেসব সমস্যাও সমাধান করে দেবে।
যতটুকু খাবেন আম
অতিরিক্ত কোন কিছুই শরীরের জন্য ভালো নয়। আম যেমনটা আমাদের শরীরের বিভিন্নভাবে উপকার করে। তাই আমরা আম খেয়ে থাকি। আমে তেমনি বিভিন্ন খারাপ দিক ও রয়েছে। যতটুকু শরীরের দরকার ততটুকু আমই আমাদের খেতে হবে। বেশি খেলে হিতে বিপরীত হতে পারে।
লেখকের মন্তব্য ঃ
আপনাদের যদি আমার এই পোস্টটি ভালো লাগে তাহলে আপনি এটি আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করতে পারেন এবং আপনার মতামত কমেন্ট করে আমাদের জানাতে পারেন। এছাড়া আরও যেসব বিষয়ে আপনারা জানতে চান আমাদের কমেন্ট করে জানাতে পারেন। আমরা আগামিতে আপনাদের সেসব বিষয়ে জানানোর চেষ্টা করব।
আপনাদের মন্তব্য কমেন্টেরে মাধ্যমে জানাতে পাড়েন
comment url