ডাব খাওয়ার উপকারিতা-খালি পেটে ডাব খেলে কি হয়

ডিম খাওয়ার উপকারিতা এবং অপকারিতাডাবের পানিতে পটাসিয়াম থাকায় এটি শরীরের পানির ঘারতি পুরনে সাহায্য করে। এছাড়াও কারোর ডায়রিয়া,আমাশয়,পানি শূন্যতা দেখা দিলে ডাবের পানি খাওয়ানো হয়। যারা ডাব খাওয়ার উপকারিতা এবং খালি পেটে ডাব খেলে কি কি উপকার হয় সেটি সম্পর্কে জানতে চান তারা আমাদের এই আর্টিকেলটি পড়ে আসতে পাড়েন।
ডাবের পানিতে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকায় এটি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতেও সাহায্য করে। ডাবের পানি ঠাণ্ডার সময় না খাওয়া শরীরের জন্য অনেক ভালো। ডাবের পানি শরীরের ঘারতি পুরনে ভূমিকা রাখে।

ভূমিকা

আমাদের দেশ নাতিশীতোষ্ণ অঞ্চলে হওয়ার কারনে এখানে তুলনামূলক ভাবেই ডাবের চাষাবাদ অনেক ভাল হয় অন্যান্য জায়গার তুলনায়। ডাব আমাদের অনেক কাজে লাগে। তবে বেশিরভাগ ডাব আমরা আমাদের খাবারের কাজেই ব্যবহার করি। ডাব খেলে কি হয়,আমাদের ডাব কেন খাওয়া উচিৎ এসব নিয়ে আমরা নিচে আলোচনা করেছি।

ডাব খাওয়ার কয়েকটি উপকারিতা

  • গর্ভবতী নারীদের শরীরের পুষ্টির অভাব পূরণে ডাব অনেক ভূমিকা রাখে। ভ্রণ বৃদ্ধিতে ডাবে থাকা ম্যাগনেসিয়াম,ক্যালসিয়াম,পটাশিয়াম,সোডিয়াম সহায়তা করে। এছাড়াও গর্ভবতী নারীদের শরীরে অনেক পুষ্টির অভাব হয় যেটি ডাব খেলে পরিপূর্ণ হয়।
  • আমরা অনেকেই মনে করি ডাব খেলে শরীরের ওজন বাড়ে। আসলেই এমনটি নয় ডাবে শর্করার পরিমাণ অনেক কম থাকে। ডাব খেলে শরীরের ওজন বাড়ার সম্ভাবনা অনেক কম।
  • যাদের শরীরে কোলেস্টরের পরিমাণ অনেক বেশি। তাদের শরীরে উচ্চ রক্তচাপের সম্ভাবনা অনেক বেশি। ডাবে পটাশিয়াম থাকায় এটি উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে।
  • ডাবে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকায় এটি ত্বককে সুন্দর এবং দাগ মুক্ত রাখতে সাহায্য করে। ডাবের পানি নিয়মিত খেলে ত্বকের কালো দাগ,ব্রণ ইত্যাদির দাগ থেকে মুক্তি মেলে।
  • অতিরিক্ত গরমে শরীর যখন ক্লান্ত হয়ে পড়ে। তখন ডাবের পানি খেলে শরীরে ক্লান্তি দূর হয় এবং শরীর অনেকটাই ঠান্ডা থাকে।
  • ডাবের পানি আমাদের শরীরের পানির চাহিদা পূরণ করতে সাহায্য করে। আমাদের শরীরে প্রতিদিনই অনেক পানির চাহিদা থাকে যেটি ডাব খেলে পরিপূর্ণ হয়।
  • অতিরিক্ত গরমের কারণে আমাদের শরীরের আদ্রতা অনেক সময় কমে যায়। ডাবে পটাশিয়াম,ম্যাগনেসিয়াম,সোডিয়াম,ক্যালসিয়াম ইত্যাদির উপস্থিতি থাকায় এটি আমাদের শরীরের আদ্রতা ধরে রাখতে সাহায্য করে।
  • ডাব একটি আঁশ জাতীয় খাবার হওয়ায় এটি হজমেও সাহায্য করে।
  • ডাবে পটাশিয়াম,ক্যালসিয়াম,ম্যাগনেসিয়াম থাকায় এটি কিডনির কার্যক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে।

খালি পেটে ডাব খেলে কি হয়

খালি পেটে যে ডাবের পানি খাওয়া উচিৎ এটির কোন যথার্থ উত্তর নেই। কোন গবেষণাতে প্রমাণ হয়নি খালি পেটে ডাবের পানি খাওয়া ক্ষতিকর। তবে কোন গবেষনাতে এটিও প্রমাণিত হয়নি যে ডাবের পানি কোন সময়ে খেলে সেটা আমাদের শরীরের জন্য অনেক উপকারী। ডাবের পানি আমাদের শরীরে জন্য অনেক উপকারী। 
এটি হজম থেকে শুরু করে আমাদের শরীরের অনেক গুরুত্বপূর্ণ সমস্যা সমাধানে কার্যকরী ভূমিকা রাখে। ডাব খাওয়ার যেহেতু নির্দিষ্ট কোন সময়সূচি নেই। তাই এটি যে কোন সময় খাওয়া যেতে পারে। তবে খেয়াল রাখতে হবে ডাব অনেক ঠান্ডা একটি খাবার। কেউ যদি শীতকালে অতিরিক্ত ডাব খেয়ে ফেলে তবে তার সর্দি-কাশি থেকে শুরু করে ডায়রিয়া,আমাশয় পর্যন্ত হতে পারে।

ডাবের পানি খাওয়ার নিয়ম

ডাবের পানি খাওয়ার নিয়ম হলো ডাব কেটে সেটি সাথে সাথেই খেতে হবে। যদি ডাবের মুখ কেটে অনেকক্ষণ রেখে দেওয়া হয়। তাহলে ডাবের পানির ভিটামিন নষ্ট হয়ে যাবে এবং সেটি খাওয়ার অনুপযোগী হয়ে যাবে। তাই ডাব কেটে সাথে সাথেই খেয়ে ফেলতে হবে। ডাবে শর্করার পরিমাণ অনেক কম থাকে তবে সেটা কচি ডাবে। 
ডাবের বয়স যত বেশি হবে ডাবের পানিতে মিষ্টির পরিমাণ তত বেড়ে যাবে। ডাবের পানিতে মিষ্টির পরিমাণ বেড়ে গেলে এটি শরীরের ওজন বাড়তে সাহায্য করবে। শরীরে ডায়াবেটিস বাড়াতে সাহায্য করবে। তাই সবসময়ই কচি ডাব খাওয়ার চেষ্টা করতে হবে। তবে একটা জিনিস খেয়াল রাখতে হবে সরাসরি রোদ থেকে এসে সাথে সাথে ডাবের পানি খাওয়া যাবে না। ডাবের পানি খাওয়ার সময় সেটার সাথে অন্যান্য কোন কিছু মেশানো যাবে না।

ডাবের পানি খাওয়ার অপকারিতা

  • যে কোন জিনিসই অতিরিক্ত খেলে সেটি শরীরের উপর খারাপ প্রভাব ফেলে। তেমনি কেউ যদি নিয়মের বাহিরে গিয়ে অতিরিক্ত ডাব খায়। তবে তার ডায়রিয়া হওয়ার আশঙ্কা অনেক বেড়ে যায়।
  • ডাবে সোডিয়াম,ম্যাগনেসিয়াম,ক্যালসিয়াম,পটাসিয়াম থাকায় এটি আমাদের শরীরের উচ্চ রক্তচাপ ও ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে। তবে কেউ যদি অতিরিক্ত ডাব খেয়ে ফেলে তার উচ্চ রক্তচাপ এবং ডায়াবেটিস বৃদ্ধি হওয়ার আশঙ্কা অনেক বেড়ে যায়।
  • যে সকল রোগীদের কিডনির সমস্যা রয়েছে। তারা ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে তবেই ডাবের পানি খাবেন। যদিও ডাবের পানি কিডনির জন্য অনেক উপকারী। তবে এটি কিডনি রোগীদের অনেক সময় ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে।
  • এলার্জির রোগীদের ডাবের পানি থেকে দূরে থাকায় যথার্থ। যাদের এলার্জির সমস্যা রয়েছে তারা ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়া ডাবের পানি খাবেন না। এতে এলার্জির রোগীদের স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে পরতে পারে।
  • যাদের নিউমোনিয়া,ঠান্ডা জনিত বিভিন্ন রোগের আশঙ্কা রয়েছে। তাদের ডাবের পানি থেকে দূরে থাকা উচিত। এতে তাদের ঠান্ডার সমস্যা আরও বৃদ্ধি পেতে পারে।

শেষ কথা

ডাব একটি পানিও ফল যেটি খেলে শরীরে ক্লান্তি,আবসাদ দূর হয়। গরমে ডাব শরীরকে ঠাণ্ডা রাখতে ভূমিকা রাখে। ডাব আবার বেশি খেলে ঠাণ্ডা লাগতে পারে। আপনাদের এই আর্টিকেলটি পড়ে ভালো লাগলে আমার ওয়েবসাইট থেকে ঘুরে আসতে পাড়েন। আমারা এসব বিষয় নিয়ে আমাদের ওয়েবসাইটে লেখালেখি করে থাকি।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

আপনাদের মন্তব্য কমেন্টেরে মাধ্যমে জানাতে পাড়েন

comment url