কক্সবাজার জেলার সেরা ৫ টি দর্শনীয় স্থান-রাঙ্গামাটি জেলার সেরা ৫ টি দর্শনীয় স্থান
ভারতে ভ্রমণের কয়েকটি দর্শনীয় স্থানসুজলা-সুফলা শস্য-শ্যামলা আমাদের এই জন্মভূমি একটি প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের
লীলাভূমি। আমাদের দেশের অনেক স্থান রয়েছে যেগুলো ভ্রমণ পিপাসুদের জন্য অনেক
গুরুত্বপূর্ণ। আপনারা যারা কক্সবাজার জেলার সেরা ৫ টি দর্শনীয় স্থান এবং
রাঙ্গামাটি জেলার সেরা ৫ টি দর্শনীয় স্থান সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে চান তারা
নিচের আর্টিকেলটি পড়ে আসতে পারেন।
বাংলাদেশ প্রাকৃতিকভাবে অনেক সুন্দর একটি দেশ। আমরা নিচের এই আর্টিকেলে আরো
আলোচনা করেছি সিলেট জেলার সেরা ৫টি দর্শনীয় স্থান এবং ঢাকা জেলার সেরা ৫ টি
দর্শনীয় স্থান।
ভূমিকা
আমাদের দেশের অর্থনীতিতে পর্যটনশিল্প ব্যাপকভাবে প্রভাব ফেলে। আমাদের দেশের
পর্যটনশিল্পের প্রায় বেশিরভাগই আসে কক্সবাজার থেকে। আমাদের রয়েছে পৃথিবীর
সবচেয়ে বড় সমুদ্র সৈকত। আমাদের রয়েছে পৃথিবীর সবচেয়ে বড় মেরিন ড্রাইভ রোড।
তারপরেও আমাদের দেশ বাহিরের দেশের পর্যটকদেরকে আকর্ষণ করতে পারে না।
সঠিক ব্যবস্থাপনা হলো এটির সবচেয়ে বড় কারণ। যদি সরকার সঠিক ব্যবস্থাপনার
মাধ্যমে পর্যটন শিল্পকে আরো উন্নত করতে পারে। তাহলে খুব তাড়াতাড়ি বাংলাদেশ
পর্যটনশিল্পে আশেপাশের অন্যান্য দেশকে ছাড়িয়ে যাবে। তাই সরকারের উচিত দ্রুত
পর্যটন শিল্পকে উন্নত করা।
কক্সবাজার জেলার সেরা ৫ টি দর্শনীয় স্থান
কক্সবাজারে প্রত্নতাত্ত্বিক অনেক
নিদর্শন রয়েছে। নিচে আমরা কক্সবাজার জেলার কয়েকটি দর্শনীয় স্থান সম্পর্কে জানব।
- কক্সবাজার সমুদ্র সৈকত : পৃথিবীর সবচেয়ে বড় সমুদ্র সৈকত হলো কক্সবাজার সমুদ্র সৈকত। এটির আয়তন প্রায় ১২০ কিলোমিটারের মত। বিশাল এই সমুদ্র সৈকত দেখতে পৃথিবীর বিভিন্ন প্রান্ত থেকে এবং দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে প্রায় লক্ষ লক্ষ মানুষ আসে। সমুদ্রের বিশাল বিশাল ঘেউ এবং এখানকার সূর্যাস্ত দেখতে মানুষের অনেক ভিড় জমে কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে। কক্সবাজার সমুদ্র সৈকত বাংলাদেশের ভ্রমণ পিপাসুদের প্রধান দর্শনীয়স্থান। কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতের জন্যই কক্সবাজার শহরকে পর্যটন নগরী বলা হয়।
- সেন্টমার্টিন : সেন্টমার্টিনকে বলা হয় বাংলাদেশের একমাত্র প্রবাল দ্বীপ। এটি বাংলাদেশের দক্ষিণে টেকনাফ থেকে প্রায় ১০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত। এটির আয়তন মাত্র ৪ কিলোমিটার। এটিই বাংলাদেশের সর্ব দক্ষিণের ইউনিয়ন। এছাড়াও স্থানীয়রা এটিকে সেন্টমার্টিনের পরিবর্তে নারিকেল জিঞ্জিরা বলে থাকে। কেননা সেন্টমার্টিনে অনেক নারিকেলের গাছ রয়েছে। অপরূপ সৌন্দর্যমন্ডিত এই দ্বীপটি বাংলাদেশের অন্যতম পর্যটন স্থান হিসেবে জায়গা করে নিয়েছে। তাই প্রত্যেক বছর প্রায় লক্ষ লক্ষ মানুষ এই দ্বীপটি ভ্রমণ করে।
- ছেড়া দ্বীপ : ছেড়া দ্বীপ বাংলাদেশের সর্ব দক্ষিণের একটি দ্বীপ। এই দ্বীপটি সেন্টমার্টিন দ্বীপ থেকেও প্রায় পাঁচ কিলোমিটার দক্ষিণে অবস্থিত। এই দ্বীপটিও প্রবাল পাথর এবং অনেক নারিকেল গাছ দ্বারা বেষ্টিত। যদিও দ্বীপটিতে পর্যটক অনেক কম আসে। তবে এটি ভ্রমণ পিপাসুদের জন্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ একটি পর্যটন স্থান।
- হিমছড়ি : কক্সবাজার শহর থেকে মাত্র ১২ কিলোমিটার অদুরেই হিমছড়ি অবস্থিত। মূলত হিমছড়ি একটি ঠান্ডা পানি ঝরনা। এটি পাহাড়ের কোল বেয়ে নিচে বেয়ে চলে। এছাড়াও এখানে রয়েছে পাহাড় যেখান থেকে সমুদ্র এবং পাহাড়ের অপরূপ মনোমুগ্ধকর দৃশ্য দেখা যায়। যারা ভ্রমন পিপাসু রয়েছে তারা কক্সবাজার আসলে এই জায়গাটি অবশ্যই ঘুরতে মিস করে না। কক্সবাজার ঘুরতে গিয়েছেন আর হিমছড়ি যাননি। তাহলে বলতেই হয় আপনি অনেক সুন্দর একটি মনোরম দৃশ্য মিস করেছেন।
- ইনানী সমুদ্র সৈকত : কক্সবাজার থেকে প্রায় ২৩ কিলোমিটার পূর্ব দিকে ইনানী সমুদ্র সৈকত অবস্থিত। কক্সবাজারের মধ্যে এটি একটি সমুদ্র সৈকত জেটিতে ভাটার সময় প্রবাল পাথরের দেখা মেলে। কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতের তুলনায় এ সমুদ্র সৈকত অতটা উত্তাল থাকে না। বিশেষ করে বিকেলবেলা ইনানী সমুদ্র সৈকত ভ্রমণের জন্য উপযুক্ত সময়। কেননা এ সময়ের অপরূপ সূর্যাস্ত দেখতে অনেকটাই অপূর্ব লাগে। প্রত্যেক বছর ইনানি সমুদ্র সৈকত দেখতে অনেক লোকের আগমন ঘটে এই সমুদ্র সৈকতে।
ঢাকা জেলার সেরা ৫ টি দর্শনীয় স্থান
ঢাকা অনেক পুরাতন একটি শহর। ঢাকা বাংলাদেশের রাজধানী। ঢাকা সর্বমোট ৫ বার
রাজধানী হয়েছে। ঢাকা অনেক জনবহুল সম্পূর্ণ একটি শহর। রাজধানী হয় সকল স্থান
থেকে মানুষ এখানে কাজের জন্য আসে। এছাড়াও ঢাকাতে প্রত্নতাত্ত্বিক অনেক
নিদর্শন রয়েছে। নিচে আমরা ঢাকা জেলার কয়েকটি দর্শনীয় স্থান সম্পর্কে জানব।
- সোনারগাঁও : আমরা সকলেই কোথাও না কোথাও সোনারগাও নামটি অনেকবার শুনেছি। সোনারগাঁও নারায়ণগঞ্জ জেলায় অবস্থিত। এই অঞ্চলের সাথে অনেক ঐতিহাসিক স্মৃতি জড়িত। ঈশা খা যখন বাংলার সুবেদার ছিলেন। তখন সোনারগাঁও ছিল বাংলার রাজধানী। ঈশা খা তার স্ত্রী সোনাবিবির নাম অনুসারে এই অঞ্চলের নামকরণ করেছিলেন সোনারগাঁও। সোনারগাঁতে আরো রয়েছে জয়নুল আবেদিন লেক,কারুশিল্প জাদুঘর ছাড়াও আরও অনেক কিছু।
- লালবাগ কেল্লা : লালবাগ কেল্লা পুরাতন ঢাকায় অবস্থিত। এটি তৈরি করেছিলেন শায়েস্তা খা তার শাসন আমলে। এটি মুঘল শাসনামলে তৈরিকৃত একটি কেল্লা। এই কেল্লাতেই শায়েস্তা খানের কন্যা পরিবিবিকে কবর দেওয়া হয়েছে। বর্তমান সময়ে এটি দর্শনার্থীদের জন্য খুলে রাখা হয়। এখানে প্রবেশ মূল্য ২০ টাকা।
- আহসান মঞ্জিল : ঢাকা শহরের গল্প হবে এবং আহসান মঞ্জিলের গল্প হবে না এটি অনেক বিরল একটি ব্যাপার। আহসান মঞ্জিলও পুরান ঢাকায় বুড়িগঙ্গা নদীর তীরে অবস্থিত। নবাব আব্দুল গনি আহসান মঞ্জিলের প্রতিষ্ঠাতা। মূলত আহসান মঞ্জিল একটি জাদুঘর। এই জাদুঘরে মোট ২৩ টি গ্যালারি রয়েছে। এ জাদুঘরে প্রবেশের টিকিট মূল্য ৩০ টাকা।
- বাংলাদেশ জাতীয় চিড়িয়াখানা : জাতীয় চিড়িয়াখানাটি মিরপুর ১ এ অবস্থিত। এই চিড়িয়াখানাটি প্রায় ৭৫ হেক্টর জমি নিয়ে অবস্থিত। চিড়িয়াখানাতে দিন দিন পশুপাখির সংখ্যা অনেকটাই কমে যাচ্ছে। এছাড়াও চিড়িয়াখানাটিতে রয়েছে অনেক রেস্টরুম। বাচ্চাদের জন্য রয়েছে অনেক খেলার জায়গা। বর্তমান সময়ে এই চিড়িয়াখানাটিতে প্রায় ১৯১ প্রজাতির প্রাণী রয়েছে।
- রমনা পার্ক : রমনা পার্ক একটি লেক দ্বারা বিসৃত। রমনা পার্ক ঢাকার শাহবাগে অবস্থিত। এই পার্কটির আয়তন প্রায় ৬৮,৫ একর। এ পার্কটিতে অনেক ধরনের ওষুধি গাছ,ফুলের গাছ সহ অনেক ধরনের প্রাকৃতিক গাছ রয়েছে। এই পার্কের বটমূলে প্রত্যেক বছর পহেলা বৈশাখ উৎসব পালন করা হয়।
বান্দরবান জেলার সেরা ৫ টি দর্শনীয় স্থান
বান্দরবানে প্রত্নতাত্ত্বিক অনেক নিদর্শন রয়েছে। নিচে আমরা বান্দরবান জেলার
কয়েকটি দর্শনীয় স্থান সম্পর্কে জানব।
- নীলগিরি : দিগন্ত জুড়ে সবুজ পাহাড় এবং মেঘের হাতছানি যেকোনো কাউকে মুগ্ধ করতে যথেষ্ট। নীলগিরি কে বাংলাদেশের দার্জিলিং বলা হয়ে থাকে। এটি প্রায় সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ২২০০ ফুট উচ্চতায় অবস্থিত। নীলগিরি পর্যটন কেন্দ্রটি নীলগিরি পাহাড়ের চূড়ায় অবস্থিত। এটি বাংলাদেশ সেনাবাহিনী দ্বারা পরিচালিত একটি পর্যটন স্থান। নীলগিরি পাহাড়ের পাশাপাশি আরো বেশ কয়েকটি পাহাড় রয়েছে। যখন এই পাহাড়গুলোর সাথে মেঘের আবরণ মিলিত হয়। তখন সেটি দেখতে অপরূপ সুন্দর লাগে। নীলগিরি পর্যটন স্থানটি বান্দরবান শহর থেকে প্রায় ৫০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত। প্রত্যেক বছর প্রায়ই হাজার হাজার মানুষ এই পর্যটন স্থানটি দেখতে দেশ-বিদেশের বিভিন্ন স্থান থেকে আসে। এটি বান্দরবান শহরের অন্যতম প্রধান পর্যটন স্থান।
- চিম্বুক : চিম্বুক বান্দরবান শহরের একটি বিখ্যাত পাহাড়। এই পাহাড়ের চূড়াতেই যে পর্যটন কেন্দ্র গড়ে উঠেছে। সেটিকে বলা হয় চিম্বুক পর্যটন কেন্দ্র। এ পর্যটন কেন্দ্রটি সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে প্রায় ২৫০০ ফুট উচ্চতায় অবস্থিত। এ পর্যটন স্থানটিতে থেকে আপনার উপভোগ করতে পারবেন। পাহাড়ের বুক চিরে এঁকেবেকে চলা রাস্তা এবং পাশে বয়ে চলা সর্পিল নদীর সৌন্দর্য। পাহাড়ের সর্বোচ্চ উচ্চতার দাঁড়িয়ে প্রাকৃতিক নৈসর্গিক এই মনোমুগ্ধকর দৃশ্যগুলো আপনাকে মুগ্ধ করবেই।
- নীল দিগন্ত : নীল দিগন্ত বান্দরবান শহর থেকে প্রায় ৪৫ কিলোমিটার দূরে থানচি উপজেলার একটি গুরুত্বপূর্ণ পর্যটন স্থান। বিস্তীর্ণ এলাকা জুড়ে এ পর্যটন স্থানটি অবস্থিত। দিগন্ত জোড়া সারি সারি সবুজ পাহাড়ের সাথে মেঘের মিলন দেখতে অপরূপ সুন্দর লাগে। নীলগিরি পর্যটন কেন্দ্র থেকে প্রায় পাঁচ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত এই নীল দিগন্ত পর্যটন কেন্দ্রটি। প্রত্যেক বছর অনেক মানুষ এখানে ভ্রমণ করতে আসে।
- স্বর্ণমন্দির : বান্দরবান শহরের অদূরে বালাঘাটা স্থানে স্বর্ণ মন্দির অবস্থিত। এই মন্দরটি বৌদ্ধদের অনেক বড় একটি উপাসনালয়। যদিও এটি কোন সোনা দিয়ে তৈরি মন্দির নয়। তবে এতে সোনালী কালার হওয়ার কারণে এটিকে সকলেই স্বর্ণমন্দির হিসেবেই চেনে। দেশ বিদেশের বিভিন্ন স্থান থেকে বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীরা এ মন্দিরে প্রার্থনা করতে আসেন। এই স্বর্ণমন্দিরটি বান্দরবান জেলার মধ্যে অন্যতম পর্যটন স্থান হিসেবে জায়গা করে নিয়েছে। সেজন্য এই মন্দিরটিকে এখন দর্শনার্থীদের জন্য উন্মুক্ত করে দেয়া হয়েছে।
- নীলাচল : সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে প্রায় দুই হাজার ফুট উচ্চতাতে নীলাচল অবস্থিত। এটি বান্দরবান শহর থেকে প্রায় ৫ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত। নীলাচল থেকে মেঘ,আকাশ এবং পাহাড়ের সৌন্দর্য খুব ভালোভাবে অনুভব করা যায় এবং দেখা যায়। নীলাচল থেকে প্রায় পুরো বান্দরবন শহর খুব ভালভাবে দেখা যায়। যদি আকাশ পরিষ্কার থাকে তাহলে দূরের কক্সবাজার সমুদ্র সৈকত ও দেখা যায়। ভ্রমন পিপাসুদের জন্য নীলাচল অনেক গুরুত্বপূর্ণ একটি স্পট বান্দরবান শহরের মধ্যে। নীলাচল থেকে সূর্যাস্ত দেখতে অনেক বেশি সুন্দর লাগে।
রাঙ্গামাটি জেলার সেরা ৫ টি দর্শনীয় স্থান
রাঙ্গামাটিতে প্রত্নতাত্ত্বিক অনেক নিদর্শন রয়েছে। নিচে আমরা রাঙ্গামাটি জেলার
কয়েকটি দর্শনীয় স্থান সম্পর্কে জানব।
- সাজেক ভ্যালি : বাংলাদেশের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভ্রমণ স্পটগুলোর মধ্যে সাজেক ভ্যালি প্রধান একটি। সাজেক ভ্যালীর কথা শোনেনি এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া অনেক কঠিন। এটি সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে প্রায় ১৮০০ ফুট উচ্চতায় অবস্থিত। সাজেক ভ্যালি সূর্যাস্তের সময় দেখতে অত্যন্ত সুন্দর লাগে। এছাড়াও এটির আশেপাশে অনেক পাহাড় রয়েছে। যখন পাহাড় এবং মেঘ মিলে যায় সেসময় ঐ দৃশ্যটি দেখতে অপরূপ সুন্দর লাগে। প্রত্যেক বছর দেশ বিদেশের বিভিন্ন স্থান থেকে মানুষ এটি দেখতে আসে।
- কাপ্তাই লেক : যদি রাঙ্গামাটি শহরের মধ্যে সবচেয়ে বেশি ভ্রমণকৃত কোন স্থান থাকে সেটি হল কাপ্তাই লেক। এটি রাঙ্গামাটি শহরের প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের সবচেয়ে নৈসর্গের একটি আকর্ষণীয় স্থান। এই লেকটি প্রায় ১১ হাজার বর্গকিলোমিটার জায়গা জুড়ে অবস্থিত। এই লেকটি আয়তনের দিক দিয়ে দক্ষিণ এশিয়ার সবচেয়ে বড় লেক। এই লেকের চারপাশের ছোট ছোট পাহাড় গাছপালা এই লেকটিকে আরো সুন্দর এবং অপরূপ করতে সাহায্য করেছে। যদিও কাপ্তাই লেক একটি কৃত্রিম লেক। তবুও দেখে মনে হবে প্রকৃতি তার সবটুকু উজাড় করে দিয়েছে এই লেকটিতে।
- ঝুলন্ত ব্রিজ : আপনারা বিভিন্ন জায়গায় রাঙ্গামাটির ঝুলন্ত ব্রিজের ছবি অথবা ভিডিও দেখতে পারেন। রাঙ্গামাটিতে বেশ কয়েকটি পর্যটন স্থান রয়েছে সেগুলোর মধ্যে ঝুলন্ত ব্রিজ অন্যতম একটি। এই ব্রিজটি নির্মিত হয়েছে কাপ্তাই রদের উপরে। যেটি প্রায় ৩৩৫ ফুট লম্বা একটি ঝুলন্ত সেতু। এটি রাঙ্গামাটির একটি বিশেষ পর্যটন স্থান। যেটা দেখতে দেশ-বিদেশের বিভিন্ন স্থান থেকে অনেক মানুষ আসে।
- রাজবন বিহার : মূলত রাজবন বিহার এটি বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের একটি বৃহত্তম বিহার। এখানে বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের বিভিন্ন বড় বড় সাধনগন বসবাস করে থাকে। একটি বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের মানুষদের জন্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ একটি জায়গা। বর্তমান সময়ে শুধু বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের জন্য নয়। দেশ-বিদেশের বিভিন্ন স্থান থেকে বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের অনেক মানুষ এখানে আসছে। বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের জন্য এটি একটি তীর্থস্থানে পরিণত হয়েছে।
- লেক ভিউ আইল্যান্ড : লেক ভিউ আইল্যান্ড ২০১৭ সালে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী কর্তৃক গড়ে তোলা একটি পর্যটন কেন্দ্র। এখানে যারা পর্যটক রয়েছে তাদের জন্য বিভিন্ন রকম সুযোগ সুবিধা রয়েছে। তারা এখানে এসে মজা করতে পারে,ঘোরাঘুরি করতে পারে এবং প্রকৃতির সাথে অনেক সময় অতিবাহিত করতে পারে। যারা রাঙ্গামাটিতে ঘুরতে যেতে চান তাদের জন্য এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ ভ্রমণ স্কটেজ হতে পারে।
সিলেট জেলার সেরা ৫টি দর্শনীয় স্থান
সিলেটে প্রত্নতাত্ত্বিক অনেক নিদর্শন রয়েছে। নিচে আমরা সিলেট জেলার কয়েকটি
দর্শনীয় স্থান সম্পর্কে জানব।
- জাফলং : সিলেট জেলার মধ্যে সবচেয়ে বেশি পর্যটক যে স্থানটি ভ্রমণ করে সেটি হল জাফলং। বাংলাদেশের মানুষ জাফলং কে প্রকৃতির কন্যা হিসেবে চিনে। ভারতের মেঘালয় সীমান্ত ঘেশে অবস্থিত এই প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের লীলাভূমিটি। এই স্থানে প্রচুর পরিমাণে রয়েছে সাদা পাথর। যেটি মানুষকে অনেকটা আকর্ষণ করে এখানে ভ্রমন করার জন্য। এছাড়া এখানকার স্বচ্ছ জলরাশি এবং একটি ঝুলন্ত সেতু। এছাড়াও আশেপাশের পাহাড়গুলো দেখার জন্য মানুষ এখানে প্রতিবছর ভ্রমণ করতে আসে।
- লোভাছড়া : সিলেটের খাসিয়া-জয়ন্তী পাহাড়ের পাদদেশ দিয়ে বেয়ে চলা একটি স্বচ্ছ পানির নদীর নাম হচ্ছে লোভাছড়া। এছাড়া এর পাশে রয়েছে লোভাছড়া চা বাগান। পাহাড়,নদী এবং নীল আকাশের অপরূপ নৈসর্গিক সৌন্দর্যের কারণে এই লোভাছড়া ভ্রমন প্রেমীদের কাছে হয়েছে এক অপরূপ স্থান। সিলেটের গুরুত্বপূর্ণ ভ্রমণ স্থানগুলির মধ্যে এটি একটি।
- হাকালুকি হাওর : বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় মিঠা পানির হাওর হল এই হাকালুকি হাওর। এটি সিলেট বিভাগের মৌলভীবাজার জেলার পাঁচটি উপজেলা নিয়ে বিসৃত। হাকালুকি হাওর প্রায় ২৩৮টি বিল এবং দশটি নদীর সমন্বয়ে গঠিত। বর্ষাকালে এ হাওরে প্রচুর পরিমাণে মাছ পাওয়া যায়। শীতকালে এটি অতিথী পাখিদের আবাসস্থল হিসেবে পরিণত হয়। এসব অপরূপ দৃশ্য দেখতে প্রত্যেক বছর এ হাওরে দেশ বিদেশের অনেক পর্যটক এসে ভিড় করে।
- হযরত শাহজালাল (রহ:) এর মাজার : সিলেটকে বলা হয় ৩৬০ আউলিয়ার দেশ। যুগে যুগে অনেক আলেম সিলেট শহর ভ্রমণ করেছেন এবং এখানে ইসলাম প্রচার করেছেন। এই সিলেটের মাটিতে তেমনি একজন আল্লাহ তাআলার ধর্মকে প্রচারকারী আলেম হযরত শাহজালাল (রহ:) শুয়ে আছেন। তার মজার ভ্রমণ করতে প্রত্যেক বছর দেশে-বিদেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে অনেক ধরনের মানুষ এই সিলেট শহরে আসে।
- হযরত শাহ পরান (রহ:) এর মাজার : সিলেটের আরেকজন ইসলাম প্রচারকারী হলেন শাহ পরান (রহ:)। যিনি হযরত শাহজালালের ভাগ্নে ছিলেন। তিনিও সিলেটের বিভিন্ন অঞ্চলে ইসলাম প্রচার করেছেন। শাহ পরানের মাজারেও প্রত্যেক বছর বিভিন্ন স্থান থেকে মানুষজন দেখতে আসে। সিলেটের অন্যতম পর্যটন স্থান গুলোর মধ্যে শাহ পরান (রহ:) এর মাজার অন্যতম।
শেষ কথা
উপরে আমরা বাংলাদেশের কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ দর্শনীয় স্থান নিয়ে আলোচনা করেছি।
আমাদের উপরের পোস্টটি যদি আপনাদের ভালো লেগে থাকে। তাহলে আমাদের কমেন্ট করে
জানাতে পারেন আপনার মন্তব্যটি এবং এটি আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার ও করতে পারেন।
আপনাদের মন্তব্য কমেন্টেরে মাধ্যমে জানাতে পাড়েন
comment url