আপেলের পুষ্টিগুণ সম্পর্কে জানুন-আপেল খাওয়ার ৭টি স্বাস্থ্য উপকারিতা

আমড়ার পুষ্টিগুণ সম্পর্কে জানুনবহুল জনপ্রিয় ফলগুলোর মধ্যে আমাদের দেশে আপেল অন্যতম। অনেক ধরনের পুষ্টি উপাদান রয়েছে এই সুস্বাদু ফলটিতে। আপনারা যারা আপেলের পুষ্টিগুণ সম্পর্কে জানুন-আপেল খাওয়ার ৭টি স্বাস্থ্য উপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে চান। তারা আমাদের নিচের আর্টিকেলটি পড়ে আসতে পারেন।
আমরা সেখানে আপেলের পুষ্টিগুণ সম্পর্কে জানুন-আপেল খাওয়ার ৭টি স্বাস্থ্য উপকারিতা এটি ছাড়াও আপেল খাওয়ার সঠিক নিয়ম এবং আপেলের যে সকল অপকারিতা রয়েছে সেটি নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেছি।

ভূমিকা

আপেল পছন্দ করে না এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া খুব কঠিন। ছোট-বড় সকলেই পুষ্টিকর এই ফলটি খেতে অনেকটা পছন্দ করে। আপেলের অনেক পুষ্টিগুণ এবং উপকারিতা রয়েছে। যেগুলো সম্পর্কে বেশিরভাগ মানুষই জানেনা। অথচ আমরা প্রচুর পরিমাণে আপেল খেয়ে থাকি। আমাদের সকলের উচিত আপেলের উপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত জানা। 
আমরা আমাদের নিচের আলোচনায় আপেলের পুষ্টিগুণ সম্পর্কে জানুন-আপেল খাওয়ার ৭টি স্বাস্থ্য উপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করেছি। আপনাদের যদি আপেল সম্পর্কে আরো বিস্তারিত ভাবে জানতে হয়। তাহলে অনুগ্রহপূর্বক আমাদের নিচের আর্টিকেলটি পড়ে আসুন। এতে আপনাদের আপেলের উপকারিতা সম্পর্কে জ্ঞান আরো বৃদ্ধি পাবে।

আপেলের পুষ্টিগুণ সম্পর্কে জানুন

আমাদের দেশে সবচেয়ে জনপ্রিয় ফলগুলোর মধ্যে আপেল অন্যতম। ছোট থেকে শুরু করে বড় পর্যন্ত সকলেই কমবেশি আপেল খেতে পছন্দ করে। বিভিন্ন রকম পুষ্টিগুণ সম্পন্ন এর ফলটি আমাদের দেশে সারা বছর পাওয়া যায়। আপেল আমাদের শরীরের রোগ-প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে ব্যাপক ভূমিকা রাখে।
এটিতে বিভিন্ন রকম ভিটামিন জাতীয় উপাদান যেমন ভিটামিন সি,ভিটামিন ই,ভিটামিন এ সহ বিভিন্ন খনিজ উপাদান যেমন পটাশিয়াম,ম্যাগনেসিয়াম,ফসফরাস,ক্যালসিয়াম,আয়রন লোহা,শর্করা,ক্যালরি প্রচুর পরিমাণে পাওয়া যায়। এছাড়া বিভিন্ন রকম অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট জাতীয় যে সকল উপাদান রয়েছে। শেসব প্রচুর পরিমাণে পাওয়া যায় আপেলে। 
যেটি আমাদের শরীরকে সুস্থ রাখতে এবং আমাদের শরীরের বিভিন্ন রকম সমস্যা দূর করতে কার্যকরী ভূমিকা রাখে। নিচে আমরা আপেল সম্পর্কে আরও বিস্তারিতভাবে আলোচনা করেছি। আপনারা চাইলে সেগুলো পড়ে আসতে পারেন। আমাদের সকলেরই উচিত নিয়মিত আপেল খাওয়া। এটি আমাদের স্বাস্থ্যর পাশাপাশি আমাদের মনকে ভালো রাখতে সাহায্য করে।

আপেল খাওয়ার ৭টি স্বাস্থ্য উপকারিতা

আপেল অনেক জনপ্রিয় এবং পুষ্টি সম্পন্ন একটি ফল। আপেলের অনেক পুষ্টিগুণ রয়েছে যেগুলো আমরা উপরে আলোচনা করেছি। আপেল খেলে যে সকল উপকারিতা পাওয়া যায়। সেগুলো সম্পর্কে নাচে আলোচনা করা হলো।
  • আপেলে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার পাওয়া যায়। তাই এটি খেলে অনেকক্ষণ যাবৎ পেট ভরে থাকে। এটি ওজন কমাতে অনেকটা সাহায্য করে।
  • আপেল ক্যান্সার প্রতিশোধক হিসেবে কাজ করে। কেননা আপেলে ফ্ল্যাভোনল নামক একটি বিশেষ উপাদান পাওয়া যায়। যেটি দেহের বিভিন্ন অংশের ক্যান্সারের কোষ বৃদ্ধিতে বাধা প্রদান করে থাকে।
  • শরীরের খারাপ কলেস্টেরলগুলোকে নিয়ন্ত্রণ করার জন্য আপেলে রয়েছে ফাইবার জাতীয় একটি উপাদান। পাশাপাশি আপেলে রয়েছে আন্টিঅক্সিডেন্ট। যেটি কলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণ করে হার্টকে স্বাভাবিক রাখে।
  • আপেলে রয়েছে পেকটিন নামক একটি বিশেষ উপাদান। যেটি শরীরের ইনসুলিন ঠিক রাখতে সাহায্য করে। তাই ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য আপেল অনেক পুষ্টি সম্পন্ন একটি ফল।
  • আপেলে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং ফাইবার পাওয়া যায়। যেটি শরীরের রোগ-প্রতিরোধ ক্ষমতা কে বৃদ্ধি করে।
  • যাদের দাঁত এবং হাড়ে অনেক ধরনের সমস্যা রয়েছে। নিয়মিত আপেল খেলে হাড় এবং দাঁতের সমস্যা থেকে খুব সহজেই মুক্তি পেতে পারে। কারণ এটিতে প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম থাকায়। এটি হাড় এবং দাঁতের গঠনে ভূমিকা রাখে।
  • আপেলে ফাইটোনিউট্রিয়েন্ট নামক পুষ্টি জাতীয় একটি উপাদান পাওয়া যায়। যেটি আমাদের হার্টকে সুস্থ রাখতে সাহায্য করে। এছাড়া এটিতে ফাইবার রয়েছে যেটি হার্টকে সুস্থ রাখতে ভূমিকা রাখে।

আপেল খাওয়ার সঠিক নিয়ম

আপেল অনেক পুষ্টি সম্পন্ন একটি ফল হলেও এটি যে কোন সময় চাইলেই খাওয়া যায় না বা চাইলেই সব সময় এটি খাওয়া উচিত নয়। বিভিন্ন গবেষণা থেকে জানা গিয়েছে চিকিৎসকেরা সবসময় সকালে আপেল খাওয়ার পরামর্শ প্রদান করেন। এটির যথার্থ কারণ রয়েছে। সকালে আপেল খেলে আপেল একটি আঁশ জাতীয় ফল এবং এটিতে প্রচুর পরিমাণে পেকটিন পাওয়া যায়। 
যেটি আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য অনেক প্রয়োজনীয়। রাতে আপেল খেলে অনেকের গ্যাসের সমস্যা হতে পারে। আবার অনেকেই রয়েছে যারা সকালে অনেক দেরিতে ঘুম থেকে উঠে। তাদের জন্য সকালে আপেল খাওয়া আবার ঠিক নয়। তবে বিভিন্ন গবেষণা থেকেই দেখা গিয়েছে যে সকালে আপেল খেলে সব থেকে বেশি এটির উপকারিতা পাওয়া সম্ভব। 
অসময়ে আপেল খেলে সেটির কার্যকারিতা খুব একটি শরীরে প্রভাব ফেলতে পারে না। আমাদের সকলের উচিত আপেল সকালে খাওয়া। সকালে খেলেই আপেলের সবচেয়ে বেশি উপকারিতা পাওয়া সম্ভব।

আপেলের যে সকল অপকারিতা রয়েছে

আপেল খুব বেশি খাওয়া আমাদের শরীরের জন্য কখনোই ভালো কিছু বয়ে আনবে না। আমাদের সকলেরই আপেল নিয়ামের মধ্যে থেকে খাওয়া উচিত। অতিরিক্ত আপেল খেলে যে সকল ক্ষতি হতে পারে সেগুলো সম্পর্কে নিচে আলোচনা করা হলো।
  • বাণিজ্যিকভাবে আপেলের চাষ বিভিন্ন দেশে হয় আসছে। আমাদের দেশেও বর্তমান সময়ে বাণিজ্যিকভাবে অনেক আপেলের চাষ হচ্ছে। তবে আপেল চাষের সবচেয়ে বড় যে সমস্যা সেটি হল। আপেলে প্রচুর পরিমাণে বিভিন্ন ধরনের কীটনাশকের ব্যবহার হয়। যেটির কারণে অতিরিক্ত আপেল খেলে অনেক ধরনের অসুখ হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
  • যদিও আপেলে শর্করার পরিমাণ অনেক কম থাকে। তারপরেও যাদের ডায়াবেটিস এবং উচ্চ সুগার এর সমস্যা রয়েছে। তাদের খুব বেশি আপেল খাওয়া থেকে বিরত থাকা উচিত। কেননা অতিরিক্ত আপেল খাওয়ার ফলে তাদের বিভিন্ন ধরনের বড় সমস্যার সম্মুখীন হওয়া লাগতে পারে।
  • আপেলে এলার্জি খুব বেশি একটা মানুষের লক্ষ্য করা যায় না। এটি অনেকটাই বিরল যে কারোর আপেলে এলার্জি হয়েছে। তারপরে যাদের এলার্জি,অ্যাজমা ইত্যাদির সমস্যা রয়েছে। তাদের অতিরিক্ত আপেল খাওয়া থেকে বিরত থাকা উচিত।
  • অনেকেই ওজন কমানোর জন্য ডায়েট ফলো করেন। তারা চেষ্টা করেন অতিরিক্ত পরিমাণে আপেল খাওয়ার। আপেলে ফাইবার থাকাই এটি ওজন কমানোর জন্য খুবই কার্যকরী একটি ফল। যেহেতু আপেলে ফাইবার রয়েছে। তাই এটি অতিরিক্ত খাওয়ার কারণে তাদের পেটে বদহজমের সমস্যা দেখা দিতে পাড়ে।

লাল আপেল এবং সবুজ আপেলের মধ্যে পার্থক্য

আমাদের দেশে লাল এবং সবুজ আপেলের চাহিদায় অনেক বেশি। মূলত লাল আপেল আসে ভারতের দার্জিলিং থেকে এবং সবুজ আপেলটি আসে ভারতের ভূস্বর্গ কাশ্মীর থেকে। এ দুটি আপেলের মধ্যে খুব একটি পার্থক্য লক্ষ্য করা যায় না। তবে এ দুটি আপেলের মধ্যে সবচেয়ে বেশি পার্থক্যের বিষয় হল পেকটিন এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এর পরিমাণ। 
সবুজ আপেলে লাল আপেলের তুলনায় অনেক বেশি পেকটিন এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট পাওয়া যায়। যা তুলনামূলক লাল আপেলে অনেকটাই কম থাকে। এছাড়াও সবুজ আপেল অনেক ভিটামিন,আইরন এবং কালোরি বেশি থাকে লাল আপেলের তুলনায়। লাল আপেলের তুলনায় সবুজ আপেল অনেক সুস্বাদু। 
সকলে সবুজ আপেলের তুলনায় লাল আপেলকে খাওয়াটাই বেশি পছন্দ করে আমাদের দেশে। আমাদের দেশে সারা বছর আপেল পাওয়া যায়। সরকারকে প্রত্যেক বছর অনেক আপেল অন্যান্য দেশ থেকে আমদানি করতে হয়। তবে সময়ের সাথে সাথে আমাদের দেশে আপেল চাষের চাহিদা তুলনামূলকভাবে বৃদ্ধি পাচ্ছে। খুব বেশিদিন লাগবেনা আমাদের দেশে অন্যান্য দেশের মত আপেল চাষে আরও সমৃদ্ধ হবে।

শেষ কথা

আমরা আমাদের উপরের আলোচনায় আপেলের পুষ্টিগুণ সম্পর্কে জানুন-আপেল খাওয়ার ৭টি স্বাস্থ্য উপকারিতা এবং আপেল খাওয়ার সঠিক নিয়ম ও আপেলের যে সকল অপকারিতা রয়েছে সেটি সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করেছি। আপনাদের যদি এই আর্টিকেলটি ভালো লেগে থাকে। তাহলে আপনাদের বন্ধু-বান্ধবের সাথে শেয়ার করুন। এবং আমাদের কমেন্টের মাধ্যমে জানাতে পারেন আপনাদের মতামত।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

আপনাদের মন্তব্য কমেন্টেরে মাধ্যমে জানাতে পাড়েন

comment url