কাজী নজরুল ইসলামের বিভিন্ন সম্মাননা-কাজী নজরুল ইসলামের প্রাথমিক জীবন

বিজয় দিবসে অস্থায়ী সরকারের অবদানবাংলা সাহিত্যের সমৃদ্ধে কাজী নজরুল ইসলামের ভূমিকা অনেক। আমরা আমাদের নিচের আর্টিকেলে এটি সম্পর্কে আলোচনা করেছি। আপনারা যারা কাজী নজরুল ইসলামের বিভিন্ন সম্মাননা-কাজী নজরুল ইসলামের প্রাথমিক জীবন সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে চান। তারা আমাদের নিচের আর্টিকেলটি পড়ে আসতে পারেন।
আমরা সেখানে কাজী নজরুল ইসলামের বিভিন্ন সম্মাননা-কাজী নজরুল ইসলামের প্রাথমিক জীবন ছাড়াও কাজী নজরুল ইসলামকে জাতীয় কবি উপাধি নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেছি।

ভূমিকা

বাংলা সাহিত্যের বৈচিত্র্যে কাজী নজরুল ইসলাম খুবই গুরুত্বপূর্ণ একজন কবি। তার বিভিন্ন রচনার মাধ্যমে তিনি বাংলা সাহিত্যে তার ছাপ রেখে গিয়েছেন। এটিতে কোন সন্দেহ নেই যে তিনি বিশ শতকের শ্রেষ্ঠ কবিগুলোর মধ্যে একজন। বাংলাদেশ সরকার কাজী নজরুল ইসলামের প্রতি সম্মান প্রদর্শনে ১৯৭৪ সালে তাকে বাংলাদেশের জাতীয় কবি হিসেবে ভূষিত করেন। 
আপনারা যারা কাজী নজরুল ইসলামের বিভিন্ন সম্মাননা-কাজী নজরুল ইসলামের প্রাথমিক জীবন সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে চান। তারা আমাদের নিচের আর্টিকেলটি পড়ে আসতে পারেন।

কাজী নজরুল ইসলামের প্রাথমিক জীবন

কাজী নজরুল ইসলাম বিশ শতকের সেরা কবিগুলোর মধ্যে অন্যতম প্রধান। কাজী নজরুল ইসলামের সাহিত্যের বিভিন্ন শাখাতে অবাধ বিচরণ রয়েছে। কাজী নজরুল ইসলাম ১৯৯৯ সালের ২৪শে মে পশ্চিমবঙ্গের বর্ধমান জেলার আসানসোল চুরুলিয়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেছিলেন একটি সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে। 
পারিবারিকভাবে অনেক গরিব হওয়ার কারণে ছোট থেকেই পড়ালেখা করার সেরকম সুযোগ পাননি। ছোটবেলায় মক্তবে থেকে তার পড়ালেখা শেষ করেন। তারপরে একটি রুটির দোকানে অনেকদিন যাবত কাজ করেন। তবে সময়ের সাথে সাথে তিনি সাহিত্যের সাথে আরো ভালোভাবে জড়িয়ে পড়েন। নিঃসন্দেহে তিনি বিংশ শতাব্দীর সেরা কবিগুলোর মধ্যে একজন।

কাজী নজরুল ইসলামকে জাতীয় কবি উপাধি

কাজী নজরুল ইসলাম মাত্র ৪০ বছর বয়সে একটি দুরারোগ্য ব্যাধিতে আক্রান্ত হওয়ার পর থেকে মৃত্যু পর্যন্ত আর কথা বলতে পারতেন না। তারপরও তিনি তার সাহিত্য রচনা বন্ধ করেননি। তার বিভিন্ন রচনার কারনে তাকে বিদ্রোহী কবি আবার সাম্যবাদী কবি বলা হয়ে থাকে। ছোটবেলায় সকলে তাকে দুখু মিয়া নামে ডাকত। 
বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কাজী নজরুল ইসলামকে ১৯৭২ সালে ভারত থেকে বাংলাদেশে নিয়ে আসেন। তাকে বাংলাদেশের জাতীয়তা দেওয়া হয় ১৯৭৪ সালে কাজী নজরুল ইসলাম বাংলাদেশের জাতীয় কবির উপাধিতে সম্মানিত করা হয়। কাজী নজরুল ইসলামের মৃত্যুর পর তাকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মসজিদ প্রাঙ্গনে কবর দেওয়া হয়।

কাজী নজরুল ইসলামের কবিতা

কাজী নজরুল ইসলামের কবিতাতে সর্বশ্রেষ্ঠ সাহিত্য হল বিদ্রোহী। এটি কাজী নজরুল ইসলামের কবিতা লেখার ধারণাকে বদলে দিয়েছিল। এবং এই কবিতার দাঁড়ায় কাজী নজরুল ইসলাম সকলের কাছে অনেক পরিচিত হয়ে উঠেছিল। এই কবিতাটির কারণে কাজী নজরুল ইসলামকে বিদ্রোহী কবি উপাধিতে ভূষিত করা হয়েছিল। 
তার বিখ্যাত কবিতাগুলোর মধ্যে অগ্নিবীণা এবং ভাঙ্গার গান খুবই জনপ্রিয়। এছাড়া আরও জনপ্রিয় কবিতা গুলোর মধ্যে প্রলয়োল্লাস,কামাল পাশা,আগমনী,শাত ইল আরব অন্যতম। এছাড়া কাজী নজরুল ইসলামের অনেক শিশু কবিতা রয়েছে। যেগুলোর মধ্যে লিচু চোর,খাদু দাদু,খুকি ও কাঠবিড়ালী অন্যতম। 
এ সকল কবিতা ছাড়াও কাজী নজরুল ইসলাম তার জীবদ্দশায় আরো অনেক ধরনের কবিতা লিখেছেন। যার মধ্যে সাম্যবাদ অন্যতম। এই কবিতায় কবি সকলকে সমান বলে আখ্যায়িত করেছেন। এই কবিতার কারণে কাজী নজরুল ইসলামকে সাম্যবাদ কবি হিসেবে ও ডাকা হয়। কাজী নজরুল ইসলাম তার কবিতা দ্বারা আমাদের বাংলা সাহিত্যকে আরো সমৃদ্ধ করেছে।

কাজী নজরুল ইসলামের বিভিন্ন সম্মাননা

জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম তার সাহিত্যকর্মের দ্বারা আমাদের বাংলা সাহিত্যকে অনেকটা সমৃদ্ধ করেছে। সাহিত্যকর্মের দ্বারা তার জীবনে অনেক বড় বড় সম্মাননা পেয়েছেন। তিনি ভারতে এবং বাংলাদেশে ছোট বড় অনেক সম্মাননা পেয়েছেন। যেগুলোর মধ্যে ১৯৪৫ সালে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে জগত্তাতারিনী স্বর্ণপদাকে সম্মাননা প্রদান করা হয়। 
এছাড়া ভারত সরকার তাদের পদ্মভূষণ সম্মাননা সম্মানিত করেছিল ১৯৬০ সালে। এছাড়া কলকাতার অনেক বিমানবন্দর,মেট্রো স্টেশন এবং অনেক রাস্তার নাম কাজী নজরুল ইসলামের নামে করা হয়েছে। কাজী নজরুল ইসলাম ১৯৭২ সালে বাংলাদেশে আসার পরে তার সম্মানায় বাংলাদেশ সরকার ১৯৭৪ সালে তাকে জাতীয় কবি মর্যাদায় সম্মানিত করেছেন।
বাংলা সাহিত্যে তার অভূত অবদানের জন্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ১৯৭৪ সালে তাকে ডি.লিট উপাধিতে ভূষিত করে। বাংলাদেশ সরকার ময়মনসিংহে তার নামে একটি সরকারি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করে। ১৯৭৬ সালের তাকে একুশে পদক সম্মাননায় সম্মানিত করা হয়।

শেষ কথা

আমরা আমাদের উপরের আলোচনায় কাজী নজরুল ইসলামের বিভিন্ন সম্মাননা-কাজী নজরুল ইসলামের প্রাথমিক জীবন এবং কাজী নজরুল ইসলামকে জাতীয় কবি উপাধি সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করেছি। আপনাদের যদি এই আর্টিকেলটি ভালো লেগে থাকে। তাহলে আপনাদের বন্ধু-বান্ধবের সাথে শেয়ার করুন। এবং আমাদের কমেন্টের মাধ্যমে জানাতে পারেন আপনাদের মতামত।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

আপনাদের মন্তব্য কমেন্টেরে মাধ্যমে জানাতে পাড়েন

comment url