রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের প্রাথমিক জীবন-বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের নোবেল বিজয়

কাজী নজরুল ইসলামের প্রাথমিক জীবনবিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরকে বলা হয় ছোট গল্পের জনক। বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর অনেক ছোটগল্প লিখেছেন। আপনারা যারা রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের প্রাথমিক জীবন-বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের নোবেল বিজয় সেটি সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে চান। তারা আমাদের নিচের আর্টিকেলটি পড়ে আসতে পারেন।
আমরা সেখানে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের প্রাথমিক জীবন-বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের নোবেল বিজয় ছাড়াও বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথের বিখ্যাত রচনাবলী নিয়েও বিস্তারিত আলোচনা করেছি।

ভূমিক

বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর এশিয়ার শ্রেষ্ঠ কবিগুলির মধ্যে একজন। তিনি ভারতীয় উপমহাদেশের সাহিত্য চর্চার রূপকে পরিবর্তন করে দিয়েছেন। বর্তমান সময়ে ভারত এবং বাংলাদেশের জাতীয় সংগীত তারই একটি রচনাবলি। বাংলা সাহিত্যের বিচরণকে আরো অবাধ করেছেন তার রচনাবলীর মাধ্যমে।
আপনারা যারা রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের প্রাথমিক জীবন-বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের নোবেল বিজয় সেটি সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে চান। তারা আমাদের নিচের আর্টিকেলটি পড়ে আসতে পারেন।

রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের প্রাথমিক জীবন

১২৬৮ বঙ্গাব্দের ২৫শে বৈশাখ কলকাতার জোড়াসাঁকোতে বিখ্যাত ঠাকুর পরিবারের জন্মগ্রহণ করেন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ছোটবেলা থেকেই জমিদার পরিবারের সন্তান হওয়ায় কোন অভাব অনটন ছিল না। শিশু এবং কিশোর বয়সে তিনি বেশ কয়েকবার বিদ্যালয়ে যাওয়ার পরে যাওয়া বন্ধ করে দেন। 
তারপর তিনি পারিবারিক শিক্ষকের দ্বারা শিক্ষা গ্রহণ করেন। মাত্র ১৭ বছর বয়সে তিনি ব্যারিস্টারি পড়ার জন্য বিলেত পাড়ি জমান। বিলেত থেকে এসেই তিনি সাহিত্যের দিকে মনোযোগ দেন। এবং সময়ের সাথে সাথে তিনি বাংলা সাহিত্যে সবচেয়ে প্রভাবশালী একজন রচনাকারী হিসেবে আবির্ভূত হন।

রবীন্দ্রনাথকে বিশ্বকবি উপাধী দেওয়ার কারণ

রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ছোটবেলা থেকেই অনেক জ্ঞানী একজন মানুষ ছিলেন। কিশোর বয়স থেকেই তিনি বিভিন্ন কবিতা এবং উপন্যাস লেখার প্রতি মনোনিবেশ করেছিলেন। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরকে ছোট গল্পের জনক বলা হয়। তিনি তার জীবদ্দশায় অনেক কবিতা,উপন্যাস,নাটক,কাব্যগ্রন্থ,ছোটগল্প এবং গানসহ আরো অনেক বিষয় সম্পর্কে লিখেছেন। 
বাংলা সাহিত্যকে সমৃদ্ধ করায় রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের অনেক ভূমিকা রয়েছে। মাত্র ১৭ বছর বয়সে তিনি তার বনফুল কবিতাটি বাজারে নিয়ে আসেন। এবং সে সময় এই কবিতাটি সকলের কাছে অনেক জনপ্রিয় হয়ে উঠেছিল। তবে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরকে বিশ্বকবি উপাধি দেওয়া হয় তার বিখ্যাত গীতাঞ্জলি কাব্যগ্রন্থের কারণে। 
গীতাঞ্জলি কাব্যগ্রন্থটি বাংলা সাহিত্যের সবচেয়ে প্রভাবশালী কাব্যগ্রন্থগুলোর মধ্যে একটি। এটির কারণে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরকে সাহিত্যে নোবেল পুরস্কারও দেওয়া হয় ১৯১৩ সালে। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের বিশ্বকবি অনেক জনপ্রিয়তা মিলে গীতাঞ্জলি কাব্যগ্রন্থটির কারণে। এজন্যই ইউরোপের মানুষেরা রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরকে বিশ্বকবি উপাধি দিয়েছিলেন।

বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের নোবেল বিজয়

বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর প্রথম ভারতীয় হিসেবে ১৯১৩ সালে সাহিত্যে নোবেল পুরস্কার লাভ করেছিলেন। তিনিই প্রথম ভারতীয় বাঙালি হিসেবে নোবেল পুরস্কার অর্জন করেন। মূলত বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর নোবেল পুরস্কার অর্জন করেছিলেন। তার বিখ্যাত রচনা গীতাঞ্জলি কাব্যগ্রন্থের কারণে।
১৯১২ সালে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর গীতাঞ্জলি কাব্যগ্রন্থটির ইংরেজি সংকলন Song Offerings ইউরোপের বাজারে প্রকাশ করেন। মূলত এই কাব্যগ্রন্থটির কারণেই বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরকে ১৯১৩ সালের সাহিত্য নোবেল পুরস্কার প্রদান করা হয়। তিনিই প্রথম ভারতীয় হিসেবে সাহিত্যে নোবেল পুরস্কারটি লাভ করেন। 
এটির কারণে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরকে বিশ্বকবি উপাধিতে ভূষিত করা হয়। গীতাঞ্জলি ছাড়াও রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের অনেক বড় ধরনের রচনাবলী বাংলা সাহিত্যকে আরও সমৃদ্ধ করতে অনেক ভূমিকা রেখেছে।

রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের শ্রেষ্ঠ রচনা গীতাঞ্জলি

বিষয় কবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের শ্রেষ্ঠ রচনাবলি হল গীতাঞ্জলি কাব্যগ্রন্থ। এ কাব্যগ্রন্থটি ১৯১০ সালের ৫ই সেপ্টেম্বর প্রকাশিত হয়। এছাড়া তার পূর্বে ১৯০৮-০৯ সালে এটির কবিতাগুলো বিভিন্ন পত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছিল। গীতাঞ্জলি কাব্যগ্রন্থটি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরকে অনেক বেশি জনপ্রিয়তা এনে দিয়েছিল সে সময়। 
বিভিন্ন সূত্র থেকে জানা যায় যে,রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর গীতাঞ্জলি কাব্যগ্রন্থটি শিলাইদহ এবং জোড়াসাঁকো তার বাড়িতে বসেই লিখেছিলেন। ১৯১২ সালে বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর গীতাঞ্জলি কাব্যগ্রন্থটির ইংরেজি সংকলন Song Offerings প্রকাশ করেন। যেটির কারণে পরবর্তীতে তিনি ১৯১৩ সালে সাহিত্য নোবেল পুরস্কার লাভ করেছিলেন। গীতাঞ্জলি কাব্যগ্রন্থটি একটি ব্রাক্ষ্য-ভাবাপণ্য ভক্তিমূলক রচনা।

বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথের বিখ্যাত রচনাবলী

বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথের অনেক রচনাবলী রয়েছে যেগুলো বাংলা সাহিত্যকে সমৃদ্ধ করতে সাহায্য করেছে। তার বিখ্যাত রচনাগুলোর মধ্যে গীতাঞ্জলি অন্যতম। এছাড়াও মানসী,সোনারতরী,বনফুল,চিত্রা ক্ষণিকা,চৈতালি,কবি কাহিনী,ছবি ও গান,সন্ধ্যা সংগীত,গীতালি,বলাকা,গীতিমাল্য,শ্যামলী,মহুয়া,পূরবী শেষ সপ্তক,পত্রপুট,জন্মদিনে,শেষ লেখা। 
শেষের কবিতা,তোমার সৃষ্টির পর,আরোগ্য,শ্যামলী,পলাতক খেয়া,দেনা-পাওনা,কাবুলিওয়ালা,হৈমন্তী মনিহারা,মুসলমানেরগল্প,কঙ্কাল,নষ্টনীড়,নিশিতে,তিনকন্যা,গোরা,চারুলতা,নৌকাডুবি,ঘরে-বাইরে যোগাযোগ,চোখের বালি,,দুই বোন,মালঞ্চ,বউ ঠাকুরানীরহাট ও রাজর্ষি,বিচিত্রা,বঙ্গদর্শন,প্রবাস এবং সবুজপত্র উল্লেখযোগ্য। 
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের এসকল রচনা ছাড়াও আরো অনেক ছোট-বড় রচনাবলী রয়েছে। যেটি বাংলা সাহিত্যকে আরো ভালোভাবে সমৃদ্ধ করেছে।

রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের বাংলাদেশে আগমন

জন্মসূত্রেই রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর একজন জমিদার ছিলেন। জমিদারি থাকার কারণে তাদের অনেক জমা-জমি বাংলাদেশের বিভিন্ন স্থানে ছিল। যার কারণে দেখাশোনা করার জন্য বিভিন্ন সময় রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরকে বাংলাদেশে আসতে হতো। সে সময় স্থলপথের এত যাতায়াত সুবিধা না থাকায়। তিনি বেশিরভাগ সময় নদীপথে বাংলাদেশ আসতেন। 
বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জমিদারি বাংলাদেশের তিন স্থানে ছিল। কুষ্টিয়ার শিলাইদহে রবীন্দ্রনাথের জমি-জমা থাকার কারণে বছরের প্রায় সময় রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর এখানে এসে বসবাস করতেন। এছাড়াও সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুর এবং নওগাঁর প্রতিসড়ে জমি থাকাতে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর এখানে অবস্থান করতেন। 
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের বিখ্যাত কবিতা দুই বিঘা জমি তিনি নওগাঁর প্রতিসরে থেকেই রচনা করেছিলেন। আরো অনেক কবিতা উপন্যাস ছোটগল্প কাব্যগ্রন্থ রেখে যেগুলো বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর বাংলাদেশের এসব অঞ্চলে বসে লিখেছেন। বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের সাথে বাংলাদেশের খুব ভালো সম্পর্ক।

শেষ কথা

আমরা আমাদের উপরের আলোচনায় রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের প্রাথমিক জীবন-বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের নোবেল বিজয় এবং বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথের বিখ্যাত রচনাবলী সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করেছি। আপনাদের যদি এই আর্টিকেলটি ভালো লেগে থাকে। তাহলে আপনাদের বন্ধু-বান্ধবের সাথে শেয়ার করুন। এবং আমাদের কমেন্টের মাধ্যমে জানাতে পারেন আপনাদের মতামত।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

আপনাদের মন্তব্য কমেন্টেরে মাধ্যমে জানাতে পাড়েন

comment url