মেসির সর্বমোট গোল সংখ্যা কতটি-বিশ্বকাপে লিওনেল মেসির মোট গোল এবং আসিস্ট সংখ্যা কতটি
২০২৪ কোপা আমেরিকার পূর্ণাঙ্গ সূচি সম্পর্কে জানুনবর্তমান জেনারেশনের সবচেয়ে পছন্দের একজন খেলোয়াড়ের নাম হলেন লিওনেল মেসি।
ফুটবল পছন্দ করে আর লিওনেল মেসিকে চিনে না এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া বর্তমান সময়ে
অনেক কঠিন। আপনারা যারা মেসির সর্বমোট গোল সংখ্যা কতটি-বিশ্বকাপে লিওনেল মেসির
মোট গোল এবং আসিস্ট সংখ্যা কতটি সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে চান। তারা নিচের
আর্টিকেলটি পড়ে আসতে পারেন।
আমরা সেখানে মেসির সর্বমোট গোল সংখ্যা কতটি-বিশ্বকাপে লিওনেল মেসির মোট গোল এবং
আসিস্ট সংখ্যা কতটি এটি ছাড়াও মেসির সর্বমোট কয়টি ব্যালন ডি'অর রয়েছে সেটি
নিয়ে আলোচনা করেছি।
ভূমিকা
পৃথিবীর সকল প্রান্তের মানুষই লিওনেল মেসিকে চেনে। লিওনেল মেসি একজন ভালবাসার
নাম। তার পৃথিবীর বিভিন্ন অঞ্চলে কোটি কোটি ভক্ত রয়েছে। যারা তার খেলা দেখতে
ভালোবাসে,তাকে দেখতে ভালোবাসে। লিওনেল মেসির জন্যই বাংলাদেশসহ উপমহাদেশের মানুষজন
আর্জেন্টিনার খেলা দেখে এবং তাদের সাপোর্ট করে।
লিওনেল মেসি একজন বিশ্বাসের ফেরিওয়ালা। লিওনেল মেসি একজন স্বপ্ন পূরণের
ফেরিওয়ালা। লিওনেল মেসি তিনিই সর্বকালের সেরা খেলোয়াড়।
লিওনেল মেসির প্রাথমিক জীবন
১৯৮৭ সালের ২৪ জুন আর্জেন্টিনার রোজারিও শহরের ফ্যান্টা সে লিওনেল মেসি জন্মগ্রহণ
করেছিলেন। মেসি রোজারিওর একটি সাধারণ পরিবারের জন্মগ্রহণ করেছিলেন। কে জানতো সেই
ছোট ছেলেটি একদিন পৃথিবীর সেরা খেলোয়ার হবেন। শুরু থেকেই ফুটবলের প্রতি তার অনেক
টান থাকার কারণে।
পরিবারের সকলেই চাইতো মেসি একজন ফুটবলার হোক। তবে মেসির ফুটবলার হওয়াতে খুব বড়
একটা বাধা সৃষ্টি করেছিল গ্রোথ হরমোন নামক একটি রোগ। যেটির কারণে মেসির শরীর অনেক
ছোট ছিল। গ্রোথ হরমোন এমন এক ধরনের রোগ যেটি কাউকে বড় হতে দেয় না। এই চিকিৎসা
নেওয়ার জন্য মেসির পরিবারের সদস্যদের যথেষ্ট সামর্থ্য ছিল না।
আরও পড়ুনঃ ইউরো কাপ ২০২৪ এর সময়সূচি
যে কারণে সে সময় মেসির ফুটবল খেলার সপ্ন অনেকটাই শেষ হয়ে যাওয়ার পর্যায়ে
গিয়েছিল। তবে যাদের স্বপ্ন অনেক বড় থাকে। তাদের কেউ দাবায় রাখতে পারেনা।
মেসিকে ঈশ্বর পাঠিয়েছেন তার ফুটবল শৈলী দ্বারা সাড়া পৃথিবীকে বুধ করে রাখতে।
মেসির আর্জেন্টিনা থেকে বার্সেলোনায় আসার গল্প
মেসির বয়স তখন ১১। তখন মেসি নিউ ওল্ড বয়েজ ক্লাবের হয় খেলছিলেন। সে সময় তার
গ্রোথ হরমোন নামক একটি রোগের দেখা দেয়। যার কারণে সে সময় মেসির ফুটবল খেলায়
হুমকির মুখে পড়ে গিয়েছিল। এ রোগের চিকিৎসার অনেক খরচ হওয়ার কারণে সে সময় তার
ক্লাব তার চিকিৎসার ভার বহন করতে চায়নি।
ঠিক সে সময় বার্সেলোনার ক্রিয়া পরিচালক কার্লেস রিক্সাস মেসির খেলা একদিন দেখে
রীতি মতন অবাক হয়ে গিয়েছিলেন। তিনি ভেবেছিলেন এত ছোট ছেলে কিভাবে এত ভালো ফুটবল
খেলতে পারে। তিনি এক প্রকার আশ্চর্য হয়েই সে সময় মেসি সাথে একটি চুক্তি করে
বসেন। তিনি তার আশেপাশে কোন কাগজ খুঁজে না পেয়ে। একটি ন্যাপকিনে মেসির সাথে
চুক্তি করেন।
ঠিক তারপরেই মেসির পুরো ফ্যামিলি আর্জেন্টিনা থেকে স্পেনে চলে আসে। তারপর মেসির
চিকিৎসা শুরু হয়। পাশাপাশি মেসি ২০০২ থেকে ২০০৩ পর্যন্ত বার্সেলোনার বিভিন্ন
বয়স ভিত্তিক টিমে খেলে চালিয়ে যান। এ সময় মেসির ভালো খেলার বিনিময়ে ২০০৫ সালে
তিনি বার্সেলোনা টিমের হয়ে ডেবিউ করেন। তারপর থেকে বর্তমান সময় পর্যন্ত আমরা
মেসির খেলা দেখেই ফুটবল কে উপভোগ করছি।
লিওনেল মেসির মেজর আন্তর্জাতিক ট্রফি
মেসির ফুটবল ক্লাবের ক্যারিয়ার অনেক সমৃদ্ধ। অপরদিকে মেসির আন্তর্জাতিক
ক্যারিয়ার খুবই বিবর্ণ। যার কারণেই সমালোচকরা সবসময় মেসির আন্তর্জাতিক
ক্যারিয়ার নিয়ে প্রশ্ন করে। মেসিকে বলা হয় ম্যারাডোনার উত্তরসূরী। লিওনেল মেসি
সবসময় প্রমাণ করেছে তিনি একজন ভালো খেলোয়াড়।
তবে যে কোন খেলোয়ার তখনই ভালো হবেন যখন তিনি দেশের হয়ে কোন আন্তর্জাতিক ট্রফি
জয়লাভ করবেন। মেসি ২০১৪ সালের বিশ্বকাপের ফাইনালে গিয়েও জার্মানির কাছে ১-০
ব্যবধানে বিশ্বকাপ হারেন। ২০১৫ এবং ২০১৬ কোপা আমেরিকার ফাইনালে গিয়েও চীলির কাছে
হেরে যান। তারপরেও মেসি দমে যাননি চেষ্টা করা ছেড়ে দেননি।
পরবর্তীতে ২০২১ কোপা আমেরিকাতে আর্জেন্টিনার হয়ে মেসি প্রথম আন্তর্জাতিক ট্রফি
জয়লাভ করেন। তার পরের বছর ২০২২ সালে আর্জেন্টিনার হয়ে দুইটি আন্তর্জাতিক ট্রফি
জিতেন লিওনেল মেসি। একটি হলো ফিনালিসিমা আরেকটি হল বিশ্বকাপ। লিওনেল মেসি এই
বিশ্বকাপ জয়ের মাধ্যমেই অমরত্বের স্বাদ পেয়েছেন। নাম লিখিয়েছেন পৃথিবীর
শ্রেষ্ঠ খেলোয়াড়দের কাতারে।
অনেকের কাছে তিনিই পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ খেলোয়াড়। সমালোচকরা বরাবরই বলতো মেসি জাতীয়
দলের হয় কিছুই করতে পারে না। মেসি সে সকল সমালোচকদের মুখ চিরদিনের জন্য বন্ধ করে
দিয়েছেন আন্তর্জাতিক ট্রফি জয়ের মাধ্যমে। তিনি একমাত্র খেলোয়াড় যিনি সম্ভব যত
ধরনের ট্রফি জেতা যায় সব জিতেছেন।
বিশ্বকাপে লিওনেল মেসির মোট গোল এবং আসিস্ট সংখ্যা কতটি
লিওনেল মেসি সর্বমোট পাঁচটি বিশ্বকাপে অংশগ্রহণ করেছেন। এর মধ্যে চারটি বিশ্বকাপে
তিনি গোল করেছেন এবং একমাত্র খেলোয়াড় হিসেবে পাঁচটি বিশ্বকাপে আসিস্ট করেছেন।
লিওনেল মেসির সবচেয়ে ভালো বিশ্বকাপ হল ২০২২ কাতার বিশ্বকাপ। যেখানে লিওনেল মেসি
বিশ্বকাপটি জয়ের মাধ্যমে নিজেকে অমরত্তের আসনে নিয়ে গিয়েছেন।
লিওনেল মেসি বিশ্বকাপে সর্বমোট ১৪ টি গোল এবং ৯ টি এসিস্ট করেছেন। এবং একমাত্র
খেলোয়াড় হিসেবে একটি বিশ্বকাপের সকল পর্বে গোল করা রেকর্ড রয়েছে লিওনেল মেসির।
২০০৬ বিশ্বকাপে একটি গোল এবং একটি অ্যাসিস্ট করেছিলেন। ২০১০ বিশ্বকাপে কোন গোল
করতে না পারলেও দুটি এসিস্ট করেছিলেন।
২০১৪ বিশ্বকাপে চারটি গোল এবং চারটি অ্যাসিস্ট করেছিলেন। ২০১৮ বিশ্বকাপে একটি গোল
এবং একটি অ্যাসিস্ট করেছিলেন। ২০২২ বিশ্বকাপে সাতটি গোল এবং চারটি অ্যাসিস্ট
করেছেন। তিনি একমাত্র খেলোয়াড় যিনি বিশ্বকাপে সর্বমোট ২৫ টি ম্যাচ খেলেছেন।
তিনি একমাত্র খেলোয়াড় যার বিশ্বকাপে সবচেয়ে বেশি গোল কন্ট্রিবিউশন রয়েছে।
বার্সেলোনার হয়ে মেসির যত রেকর্ড
লিওনেল মেসি এবং বার্সেলোনা একে অপরের পরিপূরক। বার্সেলোনাতে থাকাকালীন লিওনেল
মেসি অনেক রেকর্ড করেছেন নিজের নামে। বার্সেলোনার ইতিহাসের সবচেয়ে বেশি ৬৭২ গোল
করেছেন লিওনেল মেসি। একটি ক্লাবের হয়ে সবচেয়ে বেশি গোল করা একমাত্র খেলোয়ার হলেন
লিওনাল মেসি। বার্সেলোনার ইতিহাসে সবচেয়ে বেশি অ্যাসিস্ট করেছেন লিওনেল
মেসি।
চ্যাম্পিয়নস লিগে এক ক্লাবের হয়ে সবচেয়ে বেশি গোলের রেকর্ড করেছেন লিওনেল মেসি
নিজের নামে। বার্সেলোনা তে থাকাকালীন তিনি দুবার ট্রেবল জিতেছেন। এছাড়াও
বার্সেলোনাকে চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জেতাতে তার অবদান অনেক। তিনি এক মৌসুমে
বার্সেলোনা এবং জাতীয় দলের হয় সর্বমোট ৯১ টি গোল করেছেন যেটি একটি বিশ্ব
রেকর্ড।
এছাড়াও অনেক রেকর্ড রয়েছে বার্সেলোনার হয় লিওনেল মেসি। যেটি মনে হয় না খুব
সহজে কেউ ভাঙতে পারবে। বার্সেলোনাতে টানা ১৯ বছর থাকার পরে। ২০২১ সালে লা লিগার
কিছু নিয়মের কারণে লিওনেল মেসিকে বার্সেলোনা ছেড়ে চলে যেতে হয়। সে সময় এটি
লিওনেল মেসির জন্য অনেক কষ্টকর একটি মুহূর্ত ছিল।
বার্সেলোনা ফুটবল ক্লাবের হয়ে তিনি ১০ টি লা লিগা,৪ টি চ্যাম্পিয়নস লিগ,৮ টি
স্প্যানিশ সুপার কাপ,৩ টি উয়েফা সুপার কাপ,৩ টি ফিফা ক্লাব বিশ্বকাপ এবং ৬ টি
কোপা দেল রেই জিতেছেন লিওনেল মেসি।
মেসির সর্বমোট গোল সংখ্যা কতটি
আজকের এই দিনে দাঁড়িয়ে লিওনেল মেসির মোট গোল সংখ্যা ৮৩৪ টি। তিনি বার্সেলোনার
হয়ে মোট গোল করেছেন ৬৭২ টি। পারিস সেন্ট জার্মেইর হয়ে ৩২ টি। আর্জেন্টিনার
জাতীয় দলের হয়ে ১০৬ টি। এবং বর্তমান ক্লাব ইন্টার মিয়ামির হয়ে সর্বমোট ২৪ টি
গোল করেছেন। তাই বলা যায় লিওনের মেসির সর্বমোট ক্যারিয়ার গোল সংখ্যা হল ৮৩৪ টি।
মেসির ফিফা বর্ষসেরা পুরস্কার কয়টি
ফিফা প্রত্যেক বছর একজন খেলোয়ারকে তার ভালো খেলার কারণে পুরস্কৃত করে। এ
পুরষ্কারটাকে বলা হয় The Best পুরস্কার। প্রত্যেক বছর যে খেলোয়াড়টি ক্লাব এবং
জাতীয় দলের হয় সবচেয়ে ভালো খেলে তাদের এই পুরস্কারটি দেওয়া হয়। লিওনেল মেসি
সর্বমোট ৮ বার এ পুরস্কারটি লাভ করেছেন। লিওনেল মেসি সর্বপ্রথম ২০০৯ সালে এই
পুরস্কারটি প্রথমবার দিতেন।
এরপর ২০১০,২০১১,২০১২,২০১৫,২০১৯,২০২২ এবং ২০২৩ সালে এ পুরস্কারটি অর্জন করেন। তিনি
একমাত্র খেলোয়াড় যিনি সর্বোচ্চ ৮ বার এই পুরস্কার দিয়ে অর্জন করেছেন।
মেসির ইউরোপিয়ান গোল্ডেন বুট কয়টি
একজন খেলোয়ারকে মূল্যায়ন করা হয় তার গোলের দ্বারা। ইউরোপিয়ান যে কয়েকটি লিগ
রয়েছে। সে লীগের মধ্যে যে খেলোয়ার একটি মৌসুমে সবচেয়ে বেশি গোল দেবেন। তাকে
ইউরোপিয়ান গোল্ডেন বুটের দ্বারা সম্মানিত করা হয়। এটিও লিওনের মেসি একমাত্র
খেলোয়াড় হিসেবে সর্বমোট ৬ বার এটি অর্জন করেছেন।
একটি মৌসুমে একটি ক্লাবের হয় সর্বোচ্চ ৫১ টি গোলের রেকর্ড লিওনেল মেসির দখলে।
এছাড়াও আরো অনেক রেকর্ড হয়েছে যেগুলো লিওনেল নিজের নামে করেছেন। বিভিন্ন মৌসুমে
তিনি সর্বোচ্চ গোলদাতা হওয়ার কারণ সর্বমোট ছয়টি ইউরোপিয়ান গোল্ডেন বুট অর্জন
করেছেন।
মেসির চ্যাম্পিয়নস লিগ শিরোপা কয়টি
উয়েফা চ্যাম্পিয়নস লিগ ইউরোপের সবচেয়ে বড় প্রতিযোগিতামূলক একটি ফুটবল
টুর্নামেন্ট। যেটিতে ইউরোপের নামিদামি অনেক ক্লাব অংশগ্রহণ করে। লিওনেল মেসি
বার্সেলোনাতে থাকাকালীন অবস্থায় সর্বমোট ৪ বার চ্যাম্পিয়নস লিগ শিরোপা জয়লাভ
করেছিলেন। ২০০৫-২০০৬ মৌসুমে সর্বপ্রথম উয়েফা চ্যাম্পিয়নস লিগ জিতেছেন লিওনেল
মেসি। তারপর ২০০৮-২০০৯ মৌসুমে ২য় চ্যাম্পিয়নস লিগ জয়লাভ করেন।
২০১০-২০১১ মৌসুমে বার্সেলোনার হয়ে তৃতীয় চ্যাম্পিয়ন্স লিগে জয়লাভ করেন তিনি।
সর্বশেষ ২০১৪-২০১৫ মৌসুমে বার্সেলোনার হয়ে লিওনেল মেসি তার শেষ চ্যাম্পিয়ন্স লিগ
জয়লাভ করেছিলেন। চ্যাম্পিয়ন্স লীগের গ্রুপ পর্বের সবচেয়ে বেশি গোলের রেকর্ড
লিওনেল মেসির দখলে। এছাড়াও কয়েকবার চ্যাম্পিয়ন্স লিগের টপ গোল স্কোরার হয়েছেন
তিনি।
মেসির ২০২২ বিশ্বকাপ জয়
২০১৪ সালের ব্রাজিল বিশ্বকাপে লিওনেল মেসি বিশ্বকাপ জয়ের খুব কাছাকাছি গিয়েও
সেটি অর্জন করতে পারেননি। এটির জন্য তিনি সবসময় আফসোস করেছিলেন। তবে সৃষ্টিকর্তা
তাকে ২০২২ কাতার বিশ্বকাপে এ স্বপ্নটি পূরণ করতে সাহায্য করেছেন। ২০২২ কাতার
বিশ্বকাপের হট ফেভারিট হিসেবেই আর্জেন্টিনা বিশ্বকাপে এসেছিল।
তবে গ্রুপ পর্বের প্রথম মাচে সৌদি আরবের কাছে হেরে। আর্জেন্টিনা অনেকটাই ব্যাক
ফুটে চলে গিয়েছিল। তবে যে দলে লিওনেল মেসি রয়েছে সেদল কখনোই পেছনে পড়ে না।
গ্রুপ র্পবের পরের দুটি ম্যাচে জয় লাভ করার মাধ্যমে আর্জেন্টিনা পরের রাউন্ডে
চলে গিয়েছিল। গ্রুপ র্পবের মানুষগুলোতে জয় লাভের ক্ষেত্র মেসির ভূমিকা ছিল
সবচেয়ে বেশি।
রাউন্ড অফ সিক্সটিন এর ম্যাচে অস্ট্রেলিয়াকে খুব সহজেই হারায় আর্জেন্টিনা।
কোয়ালিফায়ারের ম্যাচে আর্জেন্টিনার প্রতিপক্ষ হিসেবে ছিল নেদারল্যান্ড। তারাও
এই বিশ্বকাপে এসেছিল হট ফেভারিট একটি দল হিসেবে। বিশ্বকাপের সবচেয়ে লড়াকু একটি
ম্যাচে আর্জেন্টিনা জয়লাভ করার মাধ্যমে। ২০২২ কাতার বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে
পৌঁছে যায়।
সেমিফাইনালে আর্জেন্টিনা ক্রোয়েশিয়াকে খুব সহজে ৩-০ গোলে হারিয়ে বিশ্বকাপের
ফাইনালে পৌঁছে যায়। ইতিহাসের সবচেয়ে সুন্দর একটি ফাইনাল উপভোগ করে পৃথিবীর
মানুষ। এমন একটি ফাইনাল যেটির মধ্যে রোমান্স,নাটক,ভুল,জয় সবকিছু ছিল। সর্বশেষে
সৃষ্টিকর্তা লিওনেল মেসি দুহাত ভরে দিয়েছেন এই বিশ্বকাপে।
২০২২ সালের ১৮ এপ্রিল আর্জেন্টিনার ফুটবল প্রেমীরা কখনো এই দিনটি ভুলবে না। সেদিন
কাতারের লুসাইল স্টেডিয়ামে লিওনেল মেসির হাতে উঠেছিল আর্জেন্টিনার তৃতীয়
বিশ্বকাপটি। এবং লিওনেল মেসি পেয়েছিল অমরত্বের স্বাদ। লিওনেল মেসি সেদিন তার নাম
লিখিয়েছেন ইতিহাসের সেরা খেলোয়াড়দের কাতারে। তিনিই সর্বকালের সেরা খেলোয়ার।
মেসির সর্বমোট কয়টি ব্যালন ডি'অর রয়েছে
ফুটবলের সবচেয়ে মূল্যবান একটি ব্যক্তিগত সম্মাননা হল ব্যালন ডি'অর। ইতিহাসের
একমাত্র খেলোয়ার হিসেবে লিওনেল মেসি এই সম্মাননাটা সর্বমোট ৮ বার অর্জন করেছেন।
একমাত্র খেলোয়াড় হিসেবে টানা ৪ বার ব্যালন ডি আর জয়ের রেকর্ড রয়েছে লিওনেল
মেসির।
টানা ২০০৯ ২০১০-২০১১-২০১২ মৌসুমে তিনি ফ্রান্স ফুটবল কর্তৃক প্রদত্ত এই
সম্মাননাটি অর্জন করেন। এছাড়া ও লিওনেল মেসি ২০১৫,২০১৯,২০২১ এবং ২০২৩ সালে এ
সম্মাননাটি অর্জন করেছিলেন। অনেকেই এই পুরস্কার কে বলে লিওনেল মেসির পুরস্কার।
বর্তমানে লিওনেল মেসি কত টাকা মালিক
লিওনেল মেসি পৃথিবীর সেরা প্রভাবশালী ব্যক্তিগুলোর মধ্যে একজন। তিনি বছরে প্রায়
বাংলাদেশি টাকায় ৮০০ কোটি টাকা আয় করেন। বিভিন্ন গণমাধ্যমের গবেষণার উপর ভিত্তি
করে জানা যায়। লিওনেল মেসির সর্বমোট সম্পত্তি ৬২৭৫ কোটি টাকা। এছাড়াও ব্র্যান্ড
অ্যাম্বাসেডর হিসেবে প্রত্যেক বছর ৩০০ কোটি টাকা আয় করেন।
এছাড়াও তার নিজস্ব পোশাক তৈরীর প্রতিষ্ঠান রয়েছে। এক সপ্তাহ আগে তিনি তার একটি
আলাদা ইলেকট্রোলাইট পানীয় বাজারে প্রকাশ করেছেন। এছাড়াও তার অনেক ধরনের ব্যবসা
রয়েছে। যেগুলো থেকে তিনি বছরে প্রায় মিলিয়ন মিলিয়ন টাকা ইনকাম করেন। প্রত্যেক
বছর তিনি সবচেয়ে বেশি ইনকাম করা খেলোয়াড় হিসেবে নির্বাচিত হন। তিনিই যে
সর্বকালের সেরা খেলোয়াড়।
শেষ কথা
আমরা আমাদের উপরে আলোচনায় মেসির সর্বমোট গোল সংখ্যা কতটি-বিশ্বকাপে লিওনেল মেসির
মোট গোল এবং আসিস্ট সংখ্যা কতটি এবং মেসির চ্যাম্পিয়নস লিগ শিরোপা কয়টি সেটি
নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেছি। আপনাদের যদি এই আর্টিকেলটি ভালো লেগে থাকে। তাহলে
আপনাদের বন্ধু-বান্ধবের সাথে শেয়ার করুন। এবং আমাদের কমেন্টের মাধ্যমে জানাতে
পারেন আপনাদের মতামত।
আপনাদের মন্তব্য কমেন্টেরে মাধ্যমে জানাতে পাড়েন
comment url